সমকালীন প্রতিবেদন : দুপুরে খাওয়ার পর কিংবা রাতে গভীর ঘুমের মধ্যে রয়েছেন। হঠাৎই অনুভব করলেন পায়ে তীব্র ব্যথা। পা যেন কোনভাবেই নাড়াতে পারছেন না। তীব্র ব্যথার মাঝেই খেয়াল করলেন, রগ বা শিরায় টান পড়ে পা আপনার বেঁকে যাচ্ছে! ঘুমের মধ্যে এমন সমস্যায় ভোগেন না- এমন মানুষ বর্তমান সময়ে খুব কমই পাওয়া যাবে।
হাতের এবং কোমরের পেশিতেও টান ধরে যেকোনও সময়। এই টান ধরার নেপথ্যে রয়েছে শরীরে জলের ঘাটতি। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে পেশিতে টান ধরার প্রবণতা বাড়ে। সঙ্গে থাকে তীব্র যন্ত্রণা। তবে পেশির এই টান আপনা থেকেই কিছুক্ষণ পর ছেড়ে যায় বেশির ভাগ সময়েই।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, টান ভাবটা কেটে যাওয়ার পরও যন্ত্রণা থেকে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে কী করণীয়? পেশিতে টান ধরার অন্যতম কারণ হল, শরীরে জলের ঘাটতি। রাতে পাশ ফিরে শোওয়ার সময়ে বা হাঁটাহাঁটির সময়ে, বসে বা শুয়ে থেকে ওঠার সময়ে পেশিতে আঘাত লাগছে। পেশিতে ল্যাকটিক অ্যাসিড জমে গেলে বা ভিটামিন ও পটাসিয়ামের অভাব হলেও ঘন ঘন পেশিতে টান ধরতে পারে।
পেশিতে টান ধরলে সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্ত জায়গায় বরফের সেঁক দিন। দ্রুত মাসাজ করে পেশিকে শিথিল করে তুলতে হবে। গরম জলে তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে নিংড়ে নিয়ে তার সেঁক নিতে হবে। একটি চেয়ারে ভর দিয়ে দাঁড়াতে হবে। যে পায়ে টান লেগেছে সেটি কোমর বরাবর সামনের দিকে তুলে ১০ সেকেন্ড রেখে নামিয়ে নিতে হবে। এতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে।
যদি ঘন ঘন পেশিতে টান ধরে, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। ঘুমনোর সময় পায়ের নিচে বালিশ রাখুন। সবুজ শাকসবজি, ফল, ডিম, দুধ খেতে হবে। ডাবের জল খেতে হবে। যদি দেখেন টান ধরার পর পায়ের পেশি ফুলে উঠছে এবং সেখানকার ত্বকের রং বদলে যাচ্ছে, তা হলে দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন