সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতের কাছে প্ৰথম টি২০ ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকা। গত বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট দুই দলের লড়াই নিয়ে তুমুল চর্চা হচ্ছিল। তবে মাঠে নেমে চ্যাম্পিয়ন দলকে কোনও প্ৰতিদ্বন্দিতাই ছুঁড়ে দিতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকা। সঞ্জু স্যামসনের বিধ্বংসী শতরানে ভারত স্কোরবোর্ডে ২০২ তুলে দিয়েছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রোটিয়াজরা শেষ হয়ে গেল মাত্র ১৪১ রানে। ৬১ রানে জয় পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের শুভ সূচনা ঘটাল ভারত। অর্শদীপ সিং প্ৰথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন এইডেন মারক্রামকে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগেই প্রোটিয়াজরা ৩ উইকেট হারায়।
বরুণ চক্রবর্তী মিডল অর্ডার তছনছ করে ভাঙন ধরিয়ে যান। প্ৰথম ওভারেই রং ওয়ানে ফেরান রায়ান রিকেলটনকে। এরপরে চতুর্থ উইকেটে ক্ল্যাসেন-মিলার জুটি আশা জাগিয়ে ৪২ রানের ছোটখাটো এক পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন। তবে ১২তম ওভারে বরুণ চক্রবর্তী মাত্র দু-বলের ব্যবধানে মিলার এবং ক্ল্যাসেন দুজনকেই আউট করে দেন।
এরপরে আর ফিরে তাকাতে হয়নি। লোয়ার অর্ডারে ধস নামান রবি বিশ্নোই। বরুণ চক্রবর্তী ৩ উইকেট তুলে নেন। রবি বিশ্নোই লোয়ার অর্ডারে ভাঙচুর চালিয়ে তুলে নেন আরও ৩ উইকেট। তবে তার আগে ভারতকে বড় স্কোরে পৌঁছে দিয়েছিলেন সঞ্জু স্যামসন। পাওয়ার প্লের মধ্যে অভিষেক শর্মা আউট হয়ে যান।
সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গী করে ব্যাট হাতে ঝড় তুলে যান সঞ্জু। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি২০-তে সাইক্লোন সেঞ্চুরির পর টি২০ খেলতে নেমেই সঞ্জু শতরান করে গেলেন টানা দুটো আন্তর্জাতিক ম্যাচে। বিশ্বের চতুর্থ ব্যাটার হিসাবে টানা দুটো টি২০ আন্তর্জাতিকে শতরান করার নজির ছোঁয়ার সঙ্গে সঞ্জু পেরিয়ে গেলেন সূর্যকুমার যাদবকেও।
দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিংয়ের বিপক্ষে ভারতীয়দের মধ্যে দ্রুততম শতরানের নজির আপাতত সঞ্জুর দখলে। সূর্যকুমার বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। তবে থামানো যায়নি সঞ্জুর ব্যাট। ১০৭ করে শেষমেশ ক্রিজ ছেড়েছেন। আর সেই সঙ্গে হোয়াইটওয়াশের পরেই দলকে আবার জয়ে ফিরিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তুর্কিরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন