সমকালীন প্রতিবেদন : সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর বিশেষ অভিযানে উদ্ধার হল প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা মূল্যের সোনার বিস্কুট। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে। দ্রুত বড়লোক হওয়ার লোভে ওই ইঞ্জিনিয়ার এই পাচারের কাজে যুক্ত হয়েছিল বলে বিএসএফের জেরায় স্বীকার করেছে।
বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার পাঁচপোতা এলাকায় একটি বাড়িতে এক ব্যক্তি প্রচুর সোনার বিস্কুট নিয়ে হাজির হয়েছে, বিশেষ সূত্রে এই খবর পেয়ে ১৮ নভেম্বর সেই বাড়িতে হানা দেয় বিএসএফের একটি বিশেষ দল। আর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় এই সোনার বিস্কুটগুলি।
বিএসএফকে বাড়ির সামনে উপস্থিত হতে দেখে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল সোনা পাচারকারী ওই ব্যক্তি। এই সময় বিএসএফের একজন জওয়ান শূন্যে এক রাউন্ড গুলি চালান। আর তাতেই আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই পাচারকারী। যার ফলে তাকে ধরতে সুবিধা হয় জওয়ানদের।
ঘটনাস্থলে ধৃতের শরীরে তল্লাশি চালিয়ে কালো রঙের একটি সিন্থেটিক ক্যারিব্যাগ এর মধ্যে লুকিয়ে রাখা ৫০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়, যার মোট ওজন ৫.৯ কেজি। বর্তমান বাজারদর প্রায় ৪.৩৬ কোটি টাকা। তদন্তের সুবিধার্থে এরপর ওই ব্যক্তিকে বিএসএফের তেঁতুলবেড়িয়া সীমান্ত ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিএসএফের জেরায় ধৃত পাচারকারী জানায়, সে একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। দ্রুত বড়লোক হওয়ার উদ্দেশ্যে সে এই সোনা পাচারের মতো চোরাচালানের দিকে ঝুঁকেছিল। এক একটি সোনার বিস্কুট পাচারের বদলে তাকে এক হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল মূল পাচারকারীদের।
বিএসএফের হাতে ধরা পড়ার কিছুক্ষণ আগেই সে মূল পাচারকারীদের কাছ থেকে এই সোনার বিস্কুটগুলি পেয়েছিল। দু তিন ঘন্টার মধ্যে সেই বিস্কুটগুলি অপরিচিত এক ব্যক্তির হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই বিএসএফের হাতে ধরা পড়ে যায় সে।
আটক করা সোনা সহ ধৃত ব্যক্তিকে বিএসএফের পক্ষ থেকে এরপর কলকাতার রাজস্ব গোয়েন্দা দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ধৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে বিশেষ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি এই বিস্কুটগুলি কার কাছ থেকে সংগ্রহ করে, কার কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছিল, তা জানার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন