সমকালীন প্রতিবেদন : ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের কোম্পানি বানিয়ে গ্রামের মহিলাদের কাছ থেকে টাকা তুলে প্রচারণার অভিযোগ উঠলো একটি বেসরকারি মাইক্রো ফাইন্যান্স কোম্পানির বিরুদ্ধে। ভুয়ো কোম্পানী খুলে তার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ টাকা সংগ্রহ করে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো গোপালনগর থানা এলাকায়।
জানা গেছে, গোপালনগর থানা এলাকার পাল্লা, আকাইপুর সহ একাধিক এলাকায় কল্পিতা মাইক্রো ফাইনান্স অর্গানাইজেশন নামে একটি কোম্পানি খুলে বিভিন্ন এজেন্ট মারফত বেশ কয়েক বছর ধরে টাকা সংগ্রহ করা হচ্ছিল। গ্রামের মানুষ এই কোম্পানীর উপর ভরসা করার পাশাপাশি মোটা টাকা সুদ পাওয়ার লোভে কোম্পানীর এজেন্টদের মাধ্যমে টাকা জমাতে শুরু করেন।
গোপালনগর থানার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ তাদের কষ্টার্জিত অর্থ গচ্ছিত রাখছিলেন এই মাইক্রো ফিনান্স কোম্পানিতে। তাদের একটি করে পাশবইও করে দেওয়া হয়। কিন্তু পুজোর ঠিক আগে আগে টাকা ফেরত দেওয়ার সময় এগিয়ে আসতেই অফিসে তালা লাগিয়ে একপ্রকার পালিয়ে যায় কোম্পানির কর্মীরা। ফলে এখন সব টাকা হারিয়ে রীতিমতো মাথায় হাত কয়েক হাজার মানুষের।
প্রতারিত সঞ্চয়কারীরা অবশেষে গোপালনগর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। রবিবার সকালে গোপালনগর থানায় লিখিত অভিযোগ জানান প্রতারিত কয়েকশো পুরুষ ও মহিলা সঞ্চয়কারী। তাঁরা জানান, নদীয়ার চাকদা থানা এলাকার বাসিন্দা শুভম দত্ত এই ভুয়ো কোম্পানির মালিক। এজেন্ট এর মাধ্যমে আমানতকারীদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল কোনওরকম প্রতারণার শিকার হবেন না তারা। চড়া শুধু মিলবে গ্রাহকদের।
এই প্রতিশ্রুতি পেয়েই দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন থেকে ব্যবসায়ী বাড়ির মহিলারাও টাকা রেখেছিলেন এই প্রতারক কোম্পানিতে। আরও জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ২৭ টি ব্রাঞ্চ খুলে এভাবেই কয়েক লক্ষাধিক মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তাদের কেউই টাকা ফেরত পাননি।
এদিকে, যে স্থানীয় সমস্ত এজেন্টদের উপর ভরসা করে গ্রামের সাধারণ দরিদ্র মানুষেরা এই কোম্পানীতে টাকা রেখেছিলেন, টাকা ফেরতের ব্যাপারে তাদেরকে চেপে ধরলেও তারা বিষয়টি জানেন না বলে জানিয়ে দেন। ফলে এখন অসহায় অবস্থা প্রতারিত গ্রাহকদের। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন