সমকালীন প্রতিবেদন : দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপরে যে অতি গভীর নিম্নচাপ অবস্থান করছিল, সেই গভীর নিম্নচাপটি গত ৬ ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিতে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়েছে৷ ত্রিনকোমালি থেকে প্রায় ২৪০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে, নাগাপট্টিনমের ৩৩০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণ-পূর্বে, পুদুচেরির ৩৯০ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণপূর্বে এবং চেন্নাইয়ের ৪৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছে এই গভীর নিম্নচাপ।
ঘূর্ণিঝড় ফেঙ্গল শনিবার তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরি উপকূল বরাবর করাইকল এবং মহাবলিপুরমের মধ্যে ৫০–৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টার গতিবেগে স্থলভাগে আছড়ে পড়তে পারে বলে জানিয়েছে দিল্লির মৌসম ভবন৷ দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উপর গভীর নিম্নচাপটি ত্রিনকোমালি থেকে প্রায় ১১০ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তরপূর্বে গত ছয় ঘণ্টায় ২ কিলোমিটার বেগে উত্তর দিকে সরে গিয়েছে।
দিল্লির মৌসম ভবনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গভীর নিম্নচাপটির আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা এবং আজ শুক্রবার পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপের তীব্রতা বজায় রাখার খুব সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হোক বা না হোক, তার প্রভাব বাংলায় বিরাট কিছু পড়বে না। শনিবার থেকে সোমবার এর মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাতেও।
বঙ্গের উপকূলবর্তী চার জেলায় ভারী বৃষ্টি হতে পারে। আকাশ মেঘলা থাকবে এই ৩ দিন। শুক্রবার চেন্নাই, চেঙ্গলপাট্টু এবং কুড্ডালোরে স্কুল ও কলেজ বন্ধ থাকবে। অন্যদিকে, পুদুচেরিতে শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। ভারতের আবহাওয়া বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুসারে, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপটি উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তারপর এটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে না-পড়লেও শীতের আমেজে কিছুটা কাঁটা পড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে। বেশ কিছুটা বেড়েছে বঙ্গের তাপমাত্রা। নভেম্বরের শেষ দু দিন তাপমাত্রা এইরকম থাকবে। মেঘলা আকাশ থাকলেই তাপমাত্রা বাড়ে, এক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে তেমনটাই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন