সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুলের অভ্যন্তরিন বিবাদের জেরে একটানা মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতির জন্য এক পক্ষ অন্য পক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছে। এতে অসুবিধায় পড়ছে স্কুল পড়ুয়ারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। বাগদা থানার কোনিয়াড়া যাদবচন্দ্র হাইস্কুলের ঘটনা। অভিভাবকেরা চাইছেন, দ্রুত মিড ডে মিল চালু হোক স্কুলে।
জানা গেছে, ১২ নভেম্বর থেকে এই স্কুলের মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ৭০০ জন। তারমধ্যে প্রায় ২০০ জন দৈনিক মিড ডে মিল খায়। দূরের এলাকা থেকে অনেক ছাত্রছাত্রীরা এই স্কুলে পড়াশোনার জন্য আসে। পড়ুয়াদের মধ্যে অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের। স্বাভাবিকভাবেই মিড ডে মিল তাদের যথেষ্ট প্রয়োজন। কিন্তু বর্তমানে এই স্কুলে মিড ডে মিল বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছে তারা।
বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলার পর মিড ডে মিল বন্ধ থাকার কারণ হিসেবে জানা গেল, স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে অন্যান্য শিক্ষকদের বিরোধের কারণে এমন ঘটনা ঘটছে। বছর দেড়েক ধরে এই স্কুলে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে বাকিদের বিরোধ চলছে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই বিবাদ মেটে নি। যার কারণে তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের।
স্কুলের একাংশের শিক্ষকেরা জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক অনুপম সরদার এবং আরেক সহশিক্ষক অভিজিৎ মন্ডল স্কুলের মিড ডে মিল চালাতেন। বছর দেড়েক আগে স্কুলে একটি অশান্তির ঘটনা ঘটে। আর তারপর থেকে স্কুলে অনিয়মিত হয়ে পড়েন প্রধান শিক্ষক অনুপম সরদার। শেষ এক বছর তিনি স্কুলে আসতে পারছেন না। এই অবস্থায় স্কুলে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বসানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুলের বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যা হচ্ছে। শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, মিড ডে মিল চালানোর জন্য একাধিক দোকান থেকে ধারে জিনিসপত্র আনা হয়েছে। তারা এখন টাকা চাইছে। সহ শিক্ষক অভিজিৎ মন্ডল প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ এনে মিড ডে মিলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং এসআই অফ স্কুলকে চিঠি দিয়েছেন।
এই ঘটনার পর থেকেই স্কুলে মিড ডে মিল বন্ধ রয়েছে। এব্যাপারে অভিজিৎ মন্ডল বলেন, মিড ডে মিলের দায়িত্ব একা সামলাতে পারছি না। সেইজন্য এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে চিঠি পাঠিয়েছি। কারণ হিসেবে তাঁর অভিযোগ, মিড ডে মিল চালানোর জন্য যে অর্থের প্রয়োজন, সেই চেকে প্রধান শিক্ষকের সই করানোর জন্য বারবার তার কাছে অনুরোধ করে তিনি ক্লান্ত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন