সমকালীন প্রতিবেদন : মেগা নিলামের আগে মোট পাঁচজন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছিল চেন্নাই সুপার কিংস। পরে আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলাম থেকে পুরনো স্কোয়াডের কয়েকজন খেলোয়াড়কে দলে ফেরায় তারা। কিছু নতুন ক্রিকেটারকে দলে নেয় সিএসকে। সব মিলিয়ে আইপিএল ২০২৫-এর জন্য ২৫ জনের স্কোয়াড পূর্ণ করেছে চেন্নাই। আপাতত দেখে নেওয়া যাক আইপিএল ২০২৫-এর জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের সেরা একাদশ হতে পারে কেমন।
জেনে নেওয়া যাক সিএসকের শক্তি ও দুর্বলতার দিকগুলি। চেন্নাই সুপার কিংসের টপ-মিডল অর্ডারে অভিজ্ঞ ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের উপস্থিতি চিন্তায় রাখবে প্রতিপক্ষ বোলিং লাইনআপকে। ওপেনে রুতুরাজ গায়কোয়াড় নির্ভরযোগ্য। রাহুল ত্রিপাঠী, দীপক হুডারা আইপিএলের মঞ্চে পরীক্ষিত। মিডল অর্ডারে শিবম দুবে বড় শট খেলতে ওস্তাদ। ফিনিশার ধোনি তো রয়েছেনই।
তাছাড়াও রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, স্যাম কারানদের উপস্থিতি চেন্নাইয়ের ব্যাটিং গভীরতা বাড়িয়েছে বিস্তর। চেন্নাইয়ের দুই বিদেশি ব্যাটার ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র স্পিনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছন্দ। ভারতের পিচে আগেও সফল হয়েছেন তাঁরা। সুতরাং, যে কোনও পিচে সফল হওয়ার মতো ব্যাটিং লাইনআপ রয়েছে চেন্নাইয়ের হাতে।
সম্প্রতি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের জন্যই আইপিএলে অল-রাউন্ডারদের ভূমিকা কমেছে। তবে চেন্নাইয়ের হাতে এত অল-রাউন্ডার রয়েছে যে, তাদের বোলিং বিকল্পের অভাব হবে না। সম্ভাব্য প্রথম একাদশে রাচিন রবীন্দ্র, শিবম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও স্যাম কারান ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই নিজেদের অবদান রাখতে পারেন। তার উপর বিশেষজ্ঞ পেসাররা তো রয়েছেনই।
চেন্নাইয়ের স্পিন বোলিং শক্তিশালী হলেও পেস বোলিং বিভাগকে তুলনায় দুর্বল দেখাচ্ছে। দীপক চাহার চলে যাওয়ায় একজন বিশেষজ্ঞ ভারতীয় পেসারের অভাব টের পেতে পারে সিএসকে। তাদের নির্ভর করতে হবে খলিল আহমেদের উপরে। বিদেশি পেসার বলতে মাথিসা পথিরানা নির্ভরযোগ্য। তবে তিনি চোটপ্রবণ। এক্ষেত্রে ন্যাথন এলিস ও স্যাম কারানকে দিয়ে কাজ চালাতে হবে চেন্নাইকে। তবে এই দল মাঠে কেমন খেলবে, সেটা সময়ই বলবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন