সমকালীন প্রতিবেদন : বাঙালি দিপুদাতে (দিঘা,পুরী,দার্জিলিং) ক্লান্ত। যারা অল্প খরচে বেশ বৈচিত্র্যের সন্ধান করেন, তাদের জন্য বাগদা বিচ আদর্শ। অজস্র ঝাউবনের নীচে সুন্দর কটেজ, টেন্ট আর ছোট ছোট ঘর। সামনে প্রসারিত সমুদ্র আর পিছনে তাকালে অদূরেই বহু পাহাড়ের মাথা উঁচু হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মুগ্ধ হয়ে ভাববেন কোন দিকে যাবেন।
এতোকিছু না ভেবে বরং দুদিনের প্রোগ্রাম করেই ফেলুন। প্রথম দিন সমুদ্রের পারে সোনালী সৈকতে নির্জনে বন্ধুবান্ধব বা পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়ান। আর এখানে মাঝেমাঝেই পায়ের নিচে দিয়ে পালিয়ে যাবে লাল কাঁকড়া। সমুদ্রের প্রথম ঢেউয়ে জেলিফিস এসে থামবে। আর দ্বিতীয় ঢেউয়ে আবার চলে যাবে গভীর জলে।
শীতে রোদ গায়ে মেখে সমুদ্র সৈকতে ক্যাম্প চেয়ারে বসে দিব্যি চা, কফির সঙ্গে ব্রেকফাস্ট করতে পারেন। আর দ্বিতীয়দিন একটা গাড়ি ভাড়া করে ঘুরে আসুন অদূরেই ওই সবুজে ঘেরা পাহাড়ের দেশে। পাহাড়ের পাদদেশেই পেয়ে যাবেন চা আর ব্রেকফাস্ট। মন উজাড় করা আনন্দের জায়গা বাগদা বিচ।
যাওয়ার ব্যবস্থা : কলকাতা থেকে যদি আপনি ট্রেনে যাত্রা শুরু করতে চান, তাহলে আপনাকে পৌঁছে যেতে হবে হাওড়া স্টেশন। সেখান থেকে ফলকনামা এক্সপ্রেসে তিন ঘন্টার যাত্রায় পৌঁছে যাবেন উড়িষ্যার বালাসোর স্টেশন। সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে প্রায় এক ঘন্টার জার্নিতে পৌঁছে যাবেন ডেস্টিনেশন বাগদা বিচে।
থাকার ব্যবস্থা : বাগদা বিচে পেয়ে যাবেন একাধিক অসাধারণ সব বিচ ক্যাম্প। এইসব ক্যাম্পে আপনি পেয়ে যাবেন সুস্বাদু বাঙালি রান্না। ইন্টারনেটে সার্চ করলেই এইসব বিচ ক্যাম্প, রিসর্টের নাম পেয়ে যাবেন। বাগদা বিচে সৈকতের সৌন্দর্যতা ছাড়াও থাকবে পাহাড়ের মনমুগ্ধকর আহ্বান।
এখানকার ক্যাম্পগুলিতে মাথাপিছু ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকায় ৪ বেলা খাওয়া ও থাকার ব্যবস্থা পেয়ে যাবেন। তবে অবশ্যই নিজেরা যাচাই করে নেবেন। এখানে আসল মজা নির্জনতায়। এখানে আপনি নিজের পায়ের শব্দ নিজে শুনতে পাবেন। বন্ধুদের নিয়ে বা পরিবারকে নিয়ে দু'দিনের জন্য হারিয়ে যেতে বাগদা বিচে যাওয়া যেতেই পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন