সমকালীন প্রতিবেদন : প্রায় ১১ ঘন্টা ধরে তল্লাশী অভিযান চালানোর পর অবশেষে বনগাঁর ট্যাক্সিচালক পিন্টু হালদার কে আটক করে নিয়ে গেলেন ইডি আধিকারিকেরা। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার বাড়ি থেকে ১২টি ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। এছাড়াও মিলেছে অন্যান্য নথি।
মঙ্গলবার সকালে একযোগে বনগাঁ ৩টি জায়গায় হানা দেন ইডি আধিকারিকেরা। এরমধ্যে রয়েছে বনগাঁ শহরের পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা পিন্টু হালদার। পেশায় ট্যাক্সিচালক পিন্টু পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে যাত্রী নিয়ে কলকাতায় যাতায়াত করার কাজ করে বলে সাধারণভাবে জানেন এলাকার মানুষ।
কিন্তু এদিন ইডি দপ্তরের প্রতিনিধিরা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তার বাড়িতে তল্লাসী অভিযানে এলে স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান এলাকার মানুষ। উৎসুক প্রতিবেশীরা এদিন সকাল থেকে পিন্টুর বাড়ির সামনে ভিড় জমান। যদিও বাড়ির ভেতরে কাউকে প্রবেশ করতে দেন নি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রতিনিধিরা।
এদিন সাতসকালেই ইডির ৪ সদস্যের এক প্রতিনিধিদল পিন্টুর বাড়িতে হাজির হয়। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানেরা। জানা গেছে, তল্লাসী চালানোর পরপরই তার বাড়ি থেকে একটি কম্পিউটার পাওয়া গেছে। পাশাপাশি, জাল আধার কার্ডও মিলেছে। পরবর্তীতে আরও তল্লাসী চালানোর পর মোট ১২টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন ইডির আধিকারিকেরা।
পিন্টু হালদারের পাশাপাশি এদিন সকালে ইডির আর একটি দল বনগাঁ থানার ভাসানপোতার জামাল উদ্দিনের বাড়িতেও অভিযান চালায়। পাশাপাশি, পেট্রাপোল থানার পেট্রাপোল গ্রামে ইয়াকুব শেখের বাড়িতেও ইডির অভিযান চলে। এদিন সকালে ইডির আরও একটি প্রতিনিধিদল পেট্রাপোল সীমান্তে ইয়াকুবের মুদ্রা বিনিময় কেন্দ্রে যায়।
সেখানে কিছুক্ষণ থাকার পর সেখান থেকে ইয়াকুব শেখকে সঙ্গে করে পৌঁছায় তার বাড়িতে। এরপর তার বাড়ির ভিতরে ইয়াকুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেন ইডির আধিকারিকেরা। তবে সেখান থেকে ইডির প্রতিনিধিরা কি কি উদ্ধার করেছেন, তা এখনও জানা যায় নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন