সমকালীন প্রতিবেদন : খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ১৪ বছরের নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠল নিজের দাদুর বিরুদ্ধে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে অভিযুক্ত দাদুকে। নাবালিকা নির্যাতনের চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ থানার চাঁদা এলাকায়।
জানা গেছে, বছর দুয়েক আগে মা মারা যায় এই গ্রামের দুই নাবালিকা বোনের। বাবা দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ। এই অবস্থায় দুই নাবালিকা বোন দাদুর কাছে থাকা শুরু করে। দুই বোনের বড়জন নবম এবং ছোটজন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। অবস্থার প্রেক্ষিতে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় প্রাইভেট টিউটরেরা এই দুই বোনের কাছ থেকে কোনও পারিশ্রমিক নেন না।
দুই বোনের অভিযোগ, দাদু তাদের উপর নানাভাবে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করতো। এমনকি খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে আপত্তিকর আচরণ করতো। এরইমধ্যে বড়বোনকে একজন বয়ষ্ক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয় দাদু। কিন্তু ওই নাবালিকা বিয়ে করতে রাজি নয়। সে পড়াশোনা করতে চায়।
আর এই ঘটনা নিয়ে দাদুর সঙ্গে বিবাদ শুরু হয়। রবিবার যখন পাত্রপক্ষের লোকজন কলকাতা থেকে তাদের বাড়িতে আসছে বলে খবর পায়, তখন দুই বোন বাড়ি ছেড়ে গ্রামের অন্যদের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে অবশ্য পরে তাদেরকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুতেই বড়বোন বিয়ে করতে রাজি হয় না।
অভিযোগ, বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তাকে মারধোর করা হয়। এরপরই তারা গোটা বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানায়। প্রতিবেশীদের উদ্যোগে দুই বোন স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দাদুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দুই বোনের যাতে থাকা এবং পড়াশোনার সমস্যা না হয়, তারজন্য উদ্যোগ নিয়েছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন