সমকালীন প্রতিবেদন : অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশু পড়ুয়াদের রান্না করা খাবার পরিবেশনের জন্য আসা চাল, ডালে পোকা। আর তা দিয়েই জোর করে খিঁচুড়ি রান্না করে দিনের পর দিন খাওয়ানো হচ্ছে শিশুদের। বাগদা ব্লকের বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কান্ড বেধে গেল।
বয়রা পঞ্চায়েতের ৩৬৭ নম্বর ঝাউখালি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে শিশু পড়ুয়ার সংখ্যা সাকুল্যে ৩৫ জন। আর মাত্র এই কজন শিশুর জন্য আসা চাল, ডালে পোঁকা। এমনই অভিযোগ অভিভাবকদের। শুধু তাই নয়, সেই পোকা চাল, ডাল দিয়েই খিঁচুড়ি রান্না করে শিশুদের দিনের পর দিন খাওয়ানো হচ্ছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাকে বার বার সতর্ক করের পরেও তিনি একই কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিভাবকদের অভিযোগ। মঙ্গলবার সকালেও একই কান্ড ঘটায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকেরা। তারা এরপর ওই শিক্ষিকাকে অফিস ঘরে তালা বন্দি করে রেখে দেন। তারা দাবি করেন, প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এসে এর বিহিত না করা পর্যন্ত ওই শিক্ষিকাকে মুক্তি দেওয়া হবে না।
অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, শ্যামলী রায় নামে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকা নিজের ইচ্ছেমতো স্কুলে আসেন। সামান্য কিছু সময় স্কুলে থেকে বাড়ি চলে যান। সপ্তাহের অধিকাংশ দিন তিনি স্কুলে আসেন না। পোকা লাগা চাল, ডাল দিয়ে খাবার রান্না না করার কথা তাকে বার বার বলা হলেও তিনি জেদ করে বলেন যে, ওই পোকা লাগা চাল, ডাল দিয়ে তিনি খাবার তৈরি করে দেবেন।
গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বাগদা থানার পুলিশ। তারা ক্ষুব্ধ অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থাগ্রহনের আশ্বাস দিয়ে শিক্ষিকাকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে যান। পাশাপাশি, সেখানে হাজির হন বয়রা অঞ্চলের সুপারভাইজার রিয়া মন্ডল এবং বয়রা পঞ্চায়েতের প্রধান সুষমা মন্ডল।
এব্যাপারে সুপারভাইজার রিয়া মন্ডল বলেন, 'বর্ষায় হয়তো চাল, ডালে পোকা লেগে যেতে পারে। কিন্তু তা দিয়ে শিশুদের খাবার তৈরি করে দেওয়া একেবারেই উচিত কাজ নয়। পোকা লাগা চাল, ডালের বিষয়ে আমরা কিছু জানতাম না। দ্রুত সেগুলি বদলে দেওয়া হবে। আর শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের অভিযোগ যদি সত্যি প্রমানিত হয়, তাহলে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন