সমকালীন প্রতিবেদন : এবারের আইপিএলের গর্ভনিং কাউন্সিল নিয়ম করেছে, প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজি সর্বোচ্চ ৬ জন ক্রিকেটার বেছে নিতে পারে৷ তারা যেমন সরাসরি ক্রিকেটার ধরে রাখতে পারে, ঠিক তেমনই রাইট টু ম্যাচ কার্ডের মাধ্যমে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছ থেকে কিনে নিতে পারে।
আর এই কাজটি করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে চলেছে কেকেআর। কারণ, গত আইপিএলে কেকেআরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা নিয়েছিলেন অনেকেই। তবে গতবার ভালো পারফর্ম না করার জন্য অনেকেই বাদের তালিকায় জায়গা পেতে পারেন। তাঁদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ নাম হল নীতিশ রানা।
গত আইপিএল মরশুমে একেবারেই ছন্দে ছিলেন না নীতিশ রানা। খেলেছেন মাত্র ২টি ম্যাচ। করেছেন মাত্র ৪২। তার মধ্যে সর্বোচ্চ স্কোর ৩৩। তাহলে কি কেকেআর তাঁকে রিটেন করবে বলে মনে হচ্ছে? এর উত্তর এখনো জানা যায়নি।
তবে এই বাঁহাতি ভারতীয় ব্যাটসম্যান ২০১৮ থেকে নাইটদের জার্সিতে খেলছেন। ২০২৪ বাদে আইপিএলের কোনো মরশুমে তিনি ৩০০ রানের নিচে করেননি। এমনকি শ্রেয়স আইয়ারের অনুপস্থিতিতে তিনি ২০২৩ সালে কেকেআরের অধিনায়কত্ব করেছিলেন।
সেবার অবশ্য তাঁর নেতৃত্বে ভালো পারফর্ম করতে পারেনি কেকেআর। তাই হয়তো ২০২৪ সালে বেশির ভাগ ম্যাচে প্লেয়িং ইলেভেনে চান্স পাননি নীতিশ৷ গত মরশুমে দলের হয়ে মাত্র ২ ম্যাচেই তিনি ১২৩.৫৩ স্ট্রাইক-রেটে ৪২ রান করেছিলেন।
তবে তাঁকে কেকেআর রিটেন করবে কিনা, তা এখনো নিশ্চিত নয়। এই বিষয়ে তিনি সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তিনি চান ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে ধরে রাখুক।
কিন্তু এখনও তাঁকে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে কোনও যোগাযোগ করা হয়নি বলে জানান নীতিশ। নীতিশ রানার বক্তব্য, 'আমি সাত বছর ধরে কেকেআরের হয়ে খেলছি। আমাকে রিটেন করা হবে কিনা, সেটা আমার হাতে নেই।'
তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, 'আমাকে রিটেন করাটা কেকেআর ম্যানেজমেন্টের বিষয়। আমার সঙ্গে কেউ এখনও যোগাযোগ করেনি। আমি প্রতি বছর কেকেআরের হয়ে রান করেছি। যদি ওরা আমাকে দলের সম্পদ মনে করে, তাহলে নিশ্চয়ই রিটেন করবে।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন