সমকালীন প্রতিবেদন : দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের আশ্রয় নিয়েও স্বস্তি মিলছে না বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান ঠেকাতে গণহত্যার অভিযোগ এনে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করল ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
শুধু হাসিনাই নন, তিনি সহ মোট ৫৪ জনের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক মহম্মদ গোলাম মোর্তাজ। তাদেরকে অবিলম্বে আদালতে হাজির করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে চিফ প্রসিকিউটার মহম্মদ তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ঢাকায় জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান শুরু হওয়ায় নিজের বোনকে নিয়ে গোপনে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর তারপর থেকেই তিনি ভারত সরকারের আশ্রয়ে রয়েছেন।
এদিন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনামার পর নিয়ম অনুযায়ী ভারত সরকারের কাছে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবি জানাতে হবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে। যদিও এর আগেই হাসিনাকে বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়ার প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছে বাংলাদেশের তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস।
এদিকে, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৩ সালে স্বাক্ষরিত প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী আদালতের পরোয়ানা দেখাতে পারলে দুই দেশ প্রত্যর্পণ যুক্তির মেনে নিয়ে দায়িত্ব পালন করবে।
তবে এখন প্রশ্ন হল ভারত সরকার কি হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেবে? এক্ষেত্রে কূটনৈতিক মহলের ধারণা, প্রত্যর্পণ চুক্তিতে যাই উল্লেখ থাকুক না কেন, হাসিনার জীবন সংশয় থাকলে ভারত সরকার তাঁকে আজীবন ভারতে থাকার অনুমতি দিতে পারে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার অভিযোগ উঠল সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের স্মরণে পালিত জাতীয় ছুটিগুলি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন