Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪

রাজ্যের ৯ জেলার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৪ দিনের জন্য বন্ধ

 ‌

School-close-for-cyclone

সমকালীন প্রতিবেদন : চারদিনের জন্য রাজ্যের ৯ জেলার সমস্ত স্কুল কলেজ অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলো রাজ্য সরকার। ঘূর্ণিঝড় ডানার ক্ষতির প্রভাব থেকে এড়াতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার বিকেলে নবান্ন থেকে এই নির্দেশিকার কথা জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। 

আশঙ্কা সত্যি করে একটু একটু করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ডানা। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এই নিম্নচাপটি আস্তে আস্তে তার নিজের শক্তি বাড়াচ্ছে। আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সেটি আরো শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আর তারপর বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার সকালের মধ্যে উড়িষ্যার পুরী থেকে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মধ্যবর্তী কোন একটি অঞ্চলে তা আছড়ে পড়বে। 

এদিন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে, এদিনই তারা সরকারিভাবে সতর্কবার্তা হাতে পেয়েছেন। তার আগে থেকেই অবশ্য বিভিন্ন জেলার জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। প্রশাসনও সেইভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করে আজ সতর্কবার্তা হাতে পাওয়ার পর আরো বেশি করে এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। 

এদিনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, রাজ্যের ৯টি জেলায় ২৩ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত সেখানকার সমস্ত স্কুল, কলেজ, এমনকি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিও বন্ধ থাকবে। একইসঙ্গে বন্ধ থাকবে ফেরি চলাচল। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কার্যালয় নবান্ন ছাড়াও প্রতিটি জেলায় কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। বিপদজনক এলাকার বাসিন্দাদের ইতিমধ্যেই সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৪ অক্টোবরের রাত এবং ২৫ অক্টোবরের সকালের কোন একটি সময়ে ল্যান্ডফল হওয়ার কথা থাকলেও দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে ২৩ তারিখ থেকে ২৬ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলার সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। 

পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশা সরকারও তাদের ১৪টি জেলায় ৩ দিনের জন্য স্কুল ছুটি রাখার কথা ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যেই পুরীতে থাকা পর্যটকেরা নিজেদের বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন। সেখানে পর্যটকেরা থেকে গেলেও তাঁরা যাতে নিরাপদ স্থানে থাকতে পারেন, তারজন্য হোটেল কর্তৃপক্ষদেরকে সরকারের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

একই পরিস্থিতি এই রাজ্যের দীঘা, মন্দারমনি, বকখালি সহ বিভিন্ন সমুদ্রতটের। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হওয়ার কারণে ফের বন্যার আশঙ্কায় ভুগছেন কিছু জেলার মানুষ।অন্যান্য সময়ের তুলনায় এই মুহূর্তে রাজ্যের এইসব পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকের সংখ্যা কম। কারণ, ঘূর্ণিঝড়ের খবর প্রকাশ হতেই পর্যটকেরা সতর্ক হয়ে যান।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন