সমকালীন প্রতিবেদন : সদ্য বিয়ে হয়েছে। এদিকে অফিসে বেশি ছুটি নেই। আবার পকেটেরও টানটান অবস্থা। এমন অনেকেই আছেন, যারা কাছাকাছি হানিমুনে কোথাও যাওয়ার জায়গা খুঁজছেন স্বল্প বাজেটের মধ্যে। তাঁদের জন্য সেরা জায়গা হতে পারে দার্জিলিংয়ের কাছেই এই অফবিট পর্যটন কেন্দ্র, যার নাম চাটাইধুরা।
দার্জিলিংয়ের কাছেই অফবিট পর্যটন কেন্দ্র চাটাইধুরা। একটি ছোট্ট গ্রাম এই চাটাইধুরা। এখানে সর্বসাকুল্যে ২৫টি বাড়ি রয়েছে। একেবারে ছোট্ট একটা জায়গা। গ্রামের পথে ঘুরতে অসাধারণ লাগে। রাস্তায় ধারে বড় বড় পাইন গাছের জঙ্গল রয়েছে। সেখানে রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেই অসাধারণ লাগবে।
এই জায়গাটি একদিকে যেমন অফবিট, তেমনই কম খরচে বেড়ানো যায়। একেবারে বাজেটের মধ্যেই ঘুরে আসা যায় এই চাটাইধুরা থেকে। দার্জিলিং শহর থেকে মাত্র ১৮ কিমি দূরে এই গ্রাম। ছবির মতো সুন্দর গ্রামটি। প্রায় ৬৯৫৬ ফুট উচ্চতায় রয়েছে এই গ্রাম।
একেবারে নির্জন, নিরিবিলি এই অঞ্চলটি। আর তার সঙ্গে যে শব্দটি সবার আগে আসে, সেটি হল অপূর্ব সুন্দর এই গ্রাম। কুয়াশায় মোড়া পাহাড়ি গ্রাম এই চাটাইধুরা। একাধিক হোমস্টে রয়েছে এখানে। সেখানে থাকতে পারেন। পাহাড়ে বেড়াতে গেলে যা কিছু চান আপনি, সবটাই পাবেন এখানে।
চাটাইধুরাতে পাহাড়ের কোলে আছে শিবের একটি সুন্দর মন্দির। সেখানেও দুদন্ড কাটিয়ে দিতে পারেন। কাছাকাছি যে সমস্ত পর্যটন সমৃদ্ধ জায়গাগুলি রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ঘুম মনাস্ট্রি, ঘুম রেল স্টেশন, টাইগার হিল, হিমালয়ান মাউন্টেনারিং ইনস্টিটিউট সহ একাধিক দ্রষ্টব্য স্থান।
ভিড়ে ঠাসা দার্জিলিং, নাকি একটু নিরিবিলিতে পাহাড়়ের কোলে দিন দুয়েক কাটিয়ে আসা। আপনার ইচ্ছা যদি দ্বিতীয়টা হয়, তবে ঘুরে আসতে পারেন চাটাইধুরা। যারা একটু আধটু অ্যাডভেঞ্চার ভালোবাসেন তাদেরও এই জায়গাটা মন্দ লাগবে না। দিন দুয়েক কাটিয়ে দেওয়ার জন্য চাটাইধুরা বেশ সুন্দর।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সরাসরি গাড়িতে আসতে পারেন চাটাইধুরা। এখানকার দূরত্ব প্রায় ৭২ কিমি। দার্জিলিংগামী বাসে সস্তায় ঘুম পর্যন্ত এসে, তারপর সুখিয়াপোখরির গাড়িতে শিবমন্দির স্টপেজে নেমে পড়ুন। তাহলেই এই সুন্দর গন্তব্য আপনার হাতের মুঠোয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন