সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ জেলা পুলিশ এবং বনগাঁ পুরসভার যৌথ উদ্যোগে সোমবার সন্ধে থেকে বনগাঁ শহরেও শুরু হয় পুজো কার্নিভালের বিশেষ অনুষ্ঠান। এই কার্নিভালে বনগাঁ শহরের ৭টি এবং গাইঘাটা, বাগদা এবং গোপালনগর থানা এলাকার একটি করে পুজো কমিটি অংশ নেয়।
এদিন কার্নিভালের সূচনা হয় বনগাঁর প্রতাপগড় সংলগ্ন হাসপাতাল কালীবাড়ি এলাকা থেকে। দর্শনার্থীরা যাতে এই কার্নিভাল উপভোগ করতে পারেন, তার জন্য চাকদা রোডের দুধারে বাঁশের ব্যারিকেড করে দর্শনার্থীদের দাঁড়ানোর জায়গা করে দেওয়া হয়। কার্নিভাল শুরু হতেই রাস্তার দুধারে শয়ে শয়ে মানুষ উপস্থিত হয়ে যান।
কার্নিভালে অংশ নেওয়া প্রতিটি পুজো কমিটিকে ২০ হাজার এবং প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধীকারীদের যথাক্রমে ৫০, ৪০, ও ৩০ হাজার টাকা করে পুরষ্কার বাবদ দেওয়া হয়। হাসপাতাল কালীবাড়ি থেকে শুরু করে চাকদা রোড ধরে ত্রিকোণ পার্ক, রায়ব্রিজ, মতিগঞ্জ ঘড়ি মোড় হয়ে থানার ঘাটে প্রতিমা নিরঞ্জন করার ব্যবস্থা রাখা হয়।
এদিন কার্নিভাল শুরু হয় গাইঘাটার শিমুলপুর প্রগতী সংঘকে দিয়ে। এরপর একে একে অংশ নেয় গোপালনগরের পাল্লা দক্ষীনপাড়া পুজো কমিটি, বনগাঁ পুলিশ আবাসিকবৃন্দ, বাগদার সিন্দ্রানী বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাব, রেটপাড়া স্পোর্টিং ক্লাব, চাঁপাবেড়িয়া ইউনাইটেড স্পোর্টিং ক্লাব, আমলাপাড়া অ্যাথলেটিক ক্লাব, পূর্বাঞ্চল অধিবাসীবৃন্দ এবং বলাকা সমিতি (আনন্দময়ী মাতৃমন্দির)।
ত্রিকোন পার্ক এলাকায় বিশেষ মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, পুরপ্রধান গোপাল শেঠ, সাংসদ মমতা ঠাকুর, বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর সহ অন্যান্য বিশিষ্টজনেরা। ছিলেন বিচারকদের ৩ প্রতিনিধি।
কার্নিভালে অংশ নেওয়া পুজো কমিটিগুলির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে বলাকা সমিতি, প্রতাপগড় স্পোর্টিং ক্লাব এবং চাঁপাবেড়িয়া ইউনাইটেড স্পোর্টিং ক্লাব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন