সমকালীন প্রতিবেদন : গত বছর আইপিএল-এর মিনি নিলামে প্রায় ২৫ কোটি টাকা দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান পেসার মিচেল স্টার্ককে কিনেছিল কেকেআর। শুধু স্টার্ক নন, আর এক অজি পেসার প্যাট কামিন্সেরও দাম উঠেছিল ২০ কোটি টাকার বেশি। তবে আসন্ন মেগা নিলামে আকাশছোঁয়া দাম পাওয়ার এই ছবিটা আর দেখা যাবে না।
বিরাট অঙ্কে বিক্রি হয়েও অনেক সময় আইপিএল থেকে সরে দাঁড়াতেন বিদেশি ক্রিকেটাররা। সেই হঠকারিতাও আসন্ন আইপিএল থেকে চলবে না। সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে আইপিএলে রিটেনশনের নতুন নিয়ম। সেখানেই বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য নতুন করে বেশ কিছু কড়াকড়ি করা হয়েছে।
২০২৫-এর মেগা নিলামে আর যাই হোক না কেন, মিনি নিলামে কোনও বিদেশি ক্রিকেটারই আর ১৮ কোটি টাকার বেশি হাতে পাবেন না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, আইপিএল ২০২৫-এর মেগা নিলামের সব থেকে দামি ক্রিকেটার যত টাকা পাবেন এবং এবছর আইপিএলের সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি ১৮ কোটির মধ্যে যে অঙ্কটি কম হবে, ২০২৬-এর মিনি নিলামে একজন বিদেশি ক্রিকেটার সর্বোচ্চ সেই পরিমাণ টাকা হাতে পেতে পারেন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আইপিএল ২০২৫-এর নিলামে কোনও ক্রিকেটারের দাম ওঠে সর্বোচ্চ ২০ কোটি, তবে এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ রিটেনশন ফি ১৮ কোটির কম হয়ে দাঁড়াবে। অর্থাৎ, যদি আরসিবি ১৮ কোটিতে রিটেন করে এবং ইশান কিষানের নিলামে দাম ওঠে সব থেকে বেশি ২০ কোটি, তাহলে কোহলির দাম দাঁড়াবে ইশানের থেকে কম।
এমন ক্ষেত্রে ২০২৬-এর মিনি নিলামে কোনও বিদেশি ক্রিকেটার ১৮ কোটির বেশি টাকা পাবেন না। বিদেশি ক্রিকেটারদের উপর আরও একটি কড়া নিয়ম চাপিয়েছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ালেই এবার শাস্তির মুখে পড়তে হবে তাঁদের।
উল্লেখ্য, অতীতে একাধিকবার দেখা গিয়েছে, নিলামে ভালো দাম পেয়েও আইপিএল শুরুর আগে টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন জেসন রয়ের মতো তারকারও। চোট বা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তাঁরা সরে দাঁড়ান।
২০২৫ আইপিএলের নিলামে বিক্রি হওয়ার পরে যদি কোনও ক্রিকেটার সরে দাঁড়ান, তাহলে পরের দুটি অকশন থেকে তাঁকে নির্বাসিত করা হবে। আর এই দুই নিয়ম বিদেশি প্লেয়ারদের জন্য আইপিএল-এর জার্নি অনেকটাই কঠিন করবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন