সমকালীন প্রতিবেদন : অতীতের ধুলোমাখা ধূসর পাতাগুলিকে সযত্নে বুকের ভিতর যত্ন করে রেখে দেয় যে বাড়ি, তারই নাম মিউজিয়াম৷ যাদুঘরের গুরুত্ব একটি আধুনিক সমাজে বিরাট। অতীতকে অনুধাবন করা, স্পর্শ করা, ফেলে আসা দিনগুলিকে বোঝার প্রয়োজন আছে বৈকি! সেই প্রয়োজনের বোধ থেকেই প্রতি বছর ১৮ মে উদযাপিত হয় আর্ন্তজাতিক মিউজিয়াম দিবস৷ কলকাতাতেও কিন্তু আছে বেশ কিছু দুর্দান্ত মিউজিয়াম। দেখে নেওয়া যাক সেগুলির এক ঝলক-
ইন্ডিয়ান মিউজিয়াম –
বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এই জাদুঘর ১৮১৪ সালে তৈরি৷ ৬টি বিভাগ রয়েছে- শিল্পকলা, পুরাতত্ত্ব, নৃতত্ত্ব, ভূতত্ত্ব, প্রাণীতত্ত্ব ও অর্থনৈতিক।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল –
যে স্থাপত্যগুলিকে বাদ দিয়ে কলকাতাকে কল্পনা করাও দুষ্কর, সেগুলির অন্যতম ভিক্টেরিয়া মেমোরিয়াল হল। ১৯২১ সালে বেলফাস্ট সিটি হলের আদলে তৈরি মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই মিউজিয়ামে রয়েছে ব্রিটিশ আমলের অসামান্য কিছু চিত্রকর্ম। আছে ঔপনিবেশিক আধিকারিক এবং ভারতীয় রাজারাজড়াদের ছবি।
কলকাতা পুলিশ মিউজিয়াম –
কলকাতা পুলিশের দুর্দান্ত ইতিহাসের পাশাপাশি রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের ব্যবহৃত অস্ত্র সহ আরও বহু কিছু। নেতাজি সুভাষচন্দ্র সম্পর্কিত ৬৪টি ফাইলও রয়েছে।
কলকাতা ট্রাম মিউজিয়াম –
১৯৩৮ সালের একটি ভিন্টেজ ট্রামের মধ্যে এই সংগ্রহশালা। পুরনো কলকাতার বিভিন্ন ছবি, ঘোড়ায় টানা ট্রামের মডেল, বিভিন্ন পুরনো যন্ত্রাংশ- মন কাড়বে প্রত্যেকের।
হাওড়া রেল মিউজিয়াম –
হাওড়া স্টেশনের নিউ বিল্ডিং-এর কাছে রেল মিউজিয়াম। ভিন্টেজ রেল ইঞ্জিন মডেল দিয়ে সাজানো। ভিতরে আছে একটি মিনিয়েচার হাওড়া স্টেশন।
মাদার্স ওয়াক্স মিউজিয়াম –
নিউটাউনে লন্ডনের মাদাম তুসো ওয়াক্স মিউজিয়ামের আদলে তৈরি এই মিউজিয়াম। রাজা রামমোহন রায় থেকে শাহরুখ খান- কে নেই সেখানে!
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া মিউজিয়াম –
রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার এই সংগ্রহশালাটি বিবাদী বাগের কাউন্সিল হাউজে। অর্থ এবং মুদ্রার ইতিহাসের জন্য দুর্দান্ত।
কারেন্সি বিল্ডিং –
১৮৩৩ সালে মূলত আগ্রা ব্যাঙ্কের কলকাতা শাখার জন্য নির্মিত কারেন্সি বিল্ডিং দুর্দান্ত ব্রিটিশ স্থাপত্যের উদাহরণ। এর মধ্যে রয়েছে একটি অসাধারণ সংগ্রগশালা।
মেটক্যাফ হল –
মধ্য কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে স্ট্র্যান্ড রোড ও হেয়ার স্ট্রিটের সংযোগস্থলের মেটকাফ হল ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগের অসাধারণ ব্রিটিশ স্থাপত্যের উদাহরণ।
পোস্টাল মিউজিয়াম, জিপিও –
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নিজের হাতে সই করা সেভিংস বই দেখতে চান? অথবা চিঠি নিয়ে ছুটতেন যে রানারের দল, তাঁদের ব্যবহৃত পোশাক, অস্ত্র, ঘণ্টা আর লন্ঠন? তাহলে যেতেই হবে বিবাদী বাগের জেনারেল পোস্ট অফিসের (জিপিও) চত্বরের জিপিও মিউজিয়ামে। অত্যন্ত সমৃদ্ধশালী এই সংগ্রহশালা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন