Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

‌দুই ইউনিয়নের মধ্যে বিবাদে বাস, অটো পরিষেবা বন্ধ বনগাঁ–বাগদা রুটে

Bus-auto-service-off

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌অটোচালকদের দুই ইউনিয়নের মধ্যে গোলমালের জেরে শুক্রবার গোটা দিন যাত্রী পরিষেবা বন্ধ থাকলো বনগাঁ এবং বাগদার মধ্যে। সুষ্ঠ ‌মীমাংসার দাবিতে অটোর পাশাপাশি এদিন পরিষেবা বন্ধ রাখলেন টোটো এবং বাস চালকেরাও। স্বাভাবিকভাবেই দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হলো এই রুটের সাধারণ যাত্রীদের।

বনগাঁ থেকে বাগদার হেলেঞ্চার মধ্যে বনগাঁর ৪টি অটো ইউনিয়ন মিলিয়ে প্রায় ৬০০ টি অটো চলাচল করে। এছাড়া, বাগদার হেলেঞ্চা থেকে বয়রা এবং দত্তপুলিয়ার মধ্যে আলাদা ইউনিয়নের অর্ন্তভূক্ত অটো চলাচল করে। মতিগঞ্জ অটো ইউনিয়নের দাবি অনুযায়ী, বাগদার অটো ইউনিয়নের অটোগুলি তাদের নির্দিষ্ট রুটেই চলার কথা।

বনগাঁর মতিগঞ্জ অটো ইউনিয়নের অটোচালকদের অভিযোগ, বাগদা থেকে দত্তফুলিয়া পর্যন্ত সেখানকার ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত অটোচালকদের নির্দিষ্ট রূট থাকা সত্ত্বেও তারা গায়ের জোরে বনগাঁ পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে আসছে। কেউ কেউ বনগাঁ স্টেশন পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে বনগাঁর অটো, টোটো চালকেরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। 

তাঁদের আরও অভিযোগ, দিন কয়েক আগে এব্যাপারে প্রতিবাদ করতে গেলে হেলেঞ্চা অটো ইউনিয়নের কর্মীদের হাতে ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হন বনগাঁর এক অটোচালক। রক্তাক্ত হলেও পুলিশ তাঁর অভিযোগ নথিভূক্ত করে নি। এমনকি ইউনিয়নের নেতারাও এব্যাপারে কোন সুরাহা করেন নি। 

মতিগঞ্জের অটো চালকদের আরও অভিযোগ, তাঁরা সরকারি নিয়ম মেনে পারমিট নিয়ে অটো চালাচ্ছেন। কিন্তু কিছু নেতা অর্থের বিনিময়ে কোনও সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে পারমিট ছাড়াই অটো, টোটো রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে। যার কারণে সেইসব বেআইনি অটোচালকদের সঙ্গে আমাদের গোলমাল বাধছে।

মতিগঞ্জ অটো ইউনিয়নের সম্পাদক বিশ্বজিৎ অধিকারীর অভিযোগ, হেলেঞ্চা থেকে দত্তপুলিয়া পর্যন্ত রুটের অটোচালকদের জুলুমবাজির কারণে বনগাঁর অটোচালকেরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। এ ব্যাপারে প্রশাসন বা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হচ্ছে না। ফলে আগামী দিনে মতিগঞ্জ অটো ইউনিয়নের চালকেরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।

এব্যাপারে আইএনটিটিইউসির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি নারায়ণ ঘোষ জানান, 'শুনেছি দুই অটো ইউনিয়নের মধ্যে একটা গোলমাল হয়েছে। আমি বলেছি, যাত্রী পরিষেবা চালু রেখে দুই ইউনিয়নকে নিয়ে পুজোর পর আলোচনায় বসা হবে। পুজোর মুখে এইভাবে নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে পরিষেবা বন্ধ রাখা যাবে না।'‌

এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল বলে উল্লেখ করে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডলের অভিযোগ, নিজেদের মধ্যে গোলমাল করে পরিষেবা বন্ধ রেখে যাত্রীদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। এটা একপ্রকার নোংরামি। কথায় কথায় এইভাবে পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষ অসন্তুষ্ট। বাগদার মানুষ এর জবাব দেবেন।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন