সমকালীন প্রতিবেদন : সৌরভ গাঙ্গুলী, মনোজ তিওয়ারি, অশোক দিন্দার পর আর সেভাবে বাংলার কোনো ক্রিকেটার জাতীয় দলে নজর কাড়তে পারেননি। তবে আগামীতে যে এই ট্রেন্ড বদলে যেতে পারে, তার ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছে বনগাঁর তরুণ অঙ্কিত চ্যাটার্জী। সে সিএবি-র স্থানীয় ক্রিকেটে খেলে শ্যামবাজার ক্লাবের জার্সি পরে।
ক্লাবের হয়ে ব্যাটিং করে তিন নম্বরে। তবে বাংলার হয়ে ইদানিং ইনিংস ওপেন করছে সে। আর নতুন ব্যাটিং পজিশন পেয়ে সে নজর কেড়েছে। সম্প্রতি, অনূর্ধ্ব ১৯ বিনু মাঁকড় ট্রফির একটি ম্যাচে নায়কের কাজ করেছে অঙ্কিত। এই ম্যাচে ইনিংস ওপেন করে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৯১ বলে ১১৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছে।
১৪৮ মিনিটের এই ইনিংসে ৭ টি চার ও ৯ টি ছক্কা হাঁকিয়েছে অঙ্কিত। তাঁর দাপটেই ওড়িশার বরাবাটি স্টেডিয়ামে অসমের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে বাংলা ৭ উইকেট হারিয়ে ৩০৯ রানের বিশাল স্কোর করে। জবাবে মাত্র ৮০ রানে শেষ হয়ে যায় অসমের ইনিংস।
ফলে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জিতেছে বাংলা। আর সেই সঙ্গে ৪ টি পয়েন্ট পেয়ে চূড়ান্ত আত্মবিশ্বাসী হয়েছে এই তরুণ দলটি। অঙ্কিত চ্যাটার্জীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর চালকীতে। তাঁর বাবা মনি চ্যাটার্জি। অঙ্কিত বর্তমানে বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
ছোটবেলা থেকেই তাঁর ক্রিকেটের শখ। তাই কম বয়সেই বনগাঁর খেলাঘর মাঠে সোনালী স্পোর্টিং ক্লাবের ক্রিকেট কোচিংয়ে অভ্যাস শুরু করে অঙ্কিত। কোচ দোলন গোলদারের কাছে ক্রিকেটের হাতে খড়ি তাঁর। অঙ্কিতের বর্তমানের কোচও দোলনবাবু।
অঙ্কিত গত মরশুম থেকে শ্যামবাজার ক্লাবের হয়ে খেলছে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি অফস্পিন বলও করে। বাংলা অনূর্ধ্ব-১৬-তে ভালো পারফরম্যান্সের জন্য মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বাংলা দলের আন্ডার নাইনটিনে সুযোগ।
কারও কারও মতে, নিজেকে ধরে রাখতে পারলে অনেক দূর যাবে সে। তাই আগামীতে আইপিএল এবং বাংলা রঞ্জি দলে এবং ভারতীয় দলে সুযোগের অপেক্ষায় নিজেকে একটু একটু করে তৈরি করছে অঙ্কিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন