সমকালীন প্রতিবেদন : ‘প্ল্যানচেট করে কথা বলেছি মৃত তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে। সে আমাকে জানিয়েছে, ঘটনার দিন রাত্রে কি হয়েছিল’…সম্প্রতি নেটদুনিয়ায় এসে এক ইউটিউবার এমনই দাবী করেছেন তাঁর ভিডিওতে। আর সেই ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রায় ৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ দেখে নিয়েছেন।
ইউটিউবারের দাবী করা এহেন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত আপত্তি জানিয়ে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির সভাপতি দিলীপ দাস মণ্ডল, কার্যকরি সভাপতি দীনেশ সাহা, সাধারণ সম্পাদক মনীশ রায়চৌধুরী একসঙ্গে জানিয়েছেন, 'কেউ যদি সত্যিই কারো আত্মা হাজির করতে পারেন, তাহলে এত তদন্তের তো কোন প্রয়োজন নেই। যদি আত্মার সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ দিতে পারেন কেউ, তাহলে তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে।'
প্রায় ১ মাসের কাছাকাছি সময় হয়ে গেলেও, আর জি কর কান্ডে এখনও কোনো ব্রেক থ্রু পায়নি সিবিআই। প্রতিদিনই প্রতিবাদে সামিল হচ্ছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ। রাস্তায় বসে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন চিকিৎসকরাও। আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় যেন এক হয়ে গিয়েছে গোটা পৃথিবী। সকলের মুখে একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর।
এরই মধ্যে শোনা গেল কোনো এক ইউটিউবার নাকি সেই মৃত চিকিৎসকের সঙ্গে প্ল্যানচেটের মাধ্যমে কথা বলেছেন। এমনকি ঘটনার দিন রাত্রে ঠিক কি হয়েছিল, তাও নাকি তিনি জানিয়েছেন। এমনকি নিজের করা সেই ভিডিওতে ওই ইউটিউবার দাবী করেছেন, মৃত চিকিৎসকের আত্মা এখনও ওই হাসপাতাল থেকে বের হয়নি, সেখানেই ঘোরাঘুরি করছে।
এবার এই বিষয়ে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতির পক্ষ থেকে ইস্তেহার প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘বর্তমান সময়ে আর জি কর মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক খুনের মতো মর্মস্পর্শী একটা বিষয়কে নিয়ে অনেক ঠাট্টা ইয়ারকি চলছে। সমাজে এমন অনেক স্বঘোষিত বাবাজি, মাতাজি, পীর, ফকির- এমন ব্যক্তিরা আর জি কর কান্ড নিয়ে নানা অবৈজ্ঞানিক কথা বলছেন।
এমনকি অনেক প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর যারা ইএমএফ ডিটেক্টর, থার্মাল স্ক্যানার, ইকোভক্স নিয়ে প্রেতাত্মার সন্ধানে ঘুরে বেরান, তাঁরা নানান কথা বলছেন। যদি কেউ আত্মার সঙ্গে যোগাযোগের প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে ৫০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। আর তা না হলে নির্লজ্জ প্রতারক বলে, লোক ঠকাচ্ছেন বলে অভিহিত করা হবে’।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন