সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেট দলে যেসব তরুণ প্রজন্মের ক্রিকেটার নজর কেড়েছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন যশস্বী জয়সওয়াল। মাত্র ২২ বছর বয়সেই দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের তারকা বোলারদের নাস্তানাবুদ করে দিয়েছিলেন তিনি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক ঘটলেও ইংল্যান্ড সিরিজে নিজেই জাত চিনিয়েছিলেন যশস্বী। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে করেছিলেন ৭১২ রান, যা বাইশ গজে একটি বিরল ঘটনা। এখনও পর্যন্ত ওডিআইতে সুযোগ না হলেও আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ঢোকার অন্যতম দাবিদার এই ব্যাটার।
কারণ, তাঁকে স্কোয়াডে রাখা গেলে ওপেনিংয়ে একটা রাইট হ্যান্ড-লেফট হ্যান্ড কম্বিনেশনও তৈরি করা যাবে, যেটা হারিয়েছিল ভারত। কারণ, শিখর ধাওয়ানের পর থেকে তেমনভাবে কোনও বাঁহাতি ওপেনার ধারাবাহিকভাবে ভারতের হয়ে খেলেননি।
যশস্বী এবার জানালেন যে, ভারতীয় দলে তাঁর প্রথম কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে বর্তমান কোচ গৌতম গম্ভীরের ফারাকটা ঠিক কোন জায়গায়। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে যশস্বী জানান, ‘আমি শ্রীলঙ্কা সিরিজের সময় গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। উনি আমাদের সমর্থন করেছিলেন খুব। হাত খুলে নিজেদের যেটা সাধারণ খেলা, সেটাই খেলতে বলেছিলেন, যেটা আমাদের আত্মবিশ্বাসও দিয়েছিল খুব। আর ভয়ডরহীনভাবে খেলতেও সাহায্য করেছিল’।
এদিকে, আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু বাংলাদেশ সিরিজ। তার আগে দলীপ ট্রফিতেই নিজের হাত খুলে দেখে নিতে চান যশস্বী। তাঁর কথায়, ‘আমি নেটে কঠোর পরিশ্রম করছি। প্রথমে দলীপ ট্রফি রয়েছে, এরপর বাংলাদেশ সিরিজ। কোনও ব্যক্তিগত টার্গেট সেট করার বিষয় নেই। তবে ক্রিকেটে সবসময় ধারাবাহিকতা দেখাতে হয়, আর নিজের স্কিলের ওপর কাজ করতে হয়। দলীপ ট্রফি, ইরানি ট্রফির মতো ঘরোয়া প্রতিযোগিতা ক্রিকেটারদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমায় আত্মবিশ্বাস তো দেয়ই, পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খেলার জন্যেও তৈরি হতে সুবিধা করে’।
এবারের দলীপ ট্রফিতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের খেলা বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে বিসিসিআই। বিরাট-রোহিত-বুমরাহ সহ কয়েকজন বাদে বাকিদের খেলতে হচ্ছে এই প্রতিযোগিতায়। বিষয়টি অবশ্য সাধুবাদ জানাচ্ছেন যশস্বী। তাঁর মতে, দলের হয়ে খেলে জেতাতে পারলে নিজেরই আত্মবিশ্বাস বাড়ে। আর এই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েই এবার ওডিআই দলে জায়গা করে নিতে চাইছেন যশস্বী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন