Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

‌মহিলা সুরক্ষায় বনগাঁ পুলিশ জেলায় 'দশভূজা'‌ প্রকল্প চালু

Women-Protection

সমকালীন প্রতিবেদন : দশভূজা প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলা সুরক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করল বনগাঁ পুলিশ জেলা আরজিকর হাসপাতালের কর্তব্যরত মহিলার চিকিৎসকের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পর থেকে উদ্বিগ্ন প্রশাসনও। আর তাই এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি আটকাতে বিশেষ প্রকল্প চালু হলো বনগাঁয়।

রাস্তাঘাটে হোক কিংবা বাড়ির ভেতরে অথবা অফিসে ইভটিজিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মহিলাদের ওপর নানানরকম অশালীনতার ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটতে থাকে। কিন্তু এক্ষেত্রে কি করণীয়, তা অনেক সময় বুঝতে পারেন না আক্রান্ত মহিলারা। আর এই অবস্থাতেই তাদের রক্ষা করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হলো। 

শুক্রবার 'রক্ষক' নামের পুলিশের একটি বাহিনীকে পথে নামানো হলো এই বাহিনীর কাজ হবে শহর থেকে গ্রাম বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে মহিলাদের সুরক্ষার কাজে লাগা। এর জন্য ৪০ জন রক্ষককে ২৪ ঘন্টার জন্য নিযুক্ত করা হচ্ছে বনগাঁ পুলিশ জেলার অন্তর্গত ৩৮ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩৮ জন এবং বনগাঁ পৌরসভার জন্য ২ দুজন রক্ষক বাহিনী থাকছে। 

শহর থেকে গ্রাম যেখানেই মহিলাদের উপর কোনরকম অশালীন ঘটনা ঘটবে,  খবর পাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে যাতে এই রক্ষক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমস্যার সমাধান করতে পারে, সেই উদ্দেশ্যেই এই বাহিনীকে কাজে লাগানো হচ্ছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে দশভূজা নামের যে প্রকল্প চালু করা হয়েছে তার একটি অংশ হল এই রক্ষক বাহিনী। 

এব্যাপারে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, দশভূজা প্রকল্পের মাধ্যমে মোট ১০টি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর সেগুলি হল— নিরীক্ষা, রক্ষাকবচ, শক্তি, জাগৃতী, নীতি ও সততা, দৃষ্টি, বার্তা, প্রতিষ্ঠা, সংবেদন এবং প্রগতি। এই সবগুলির মাধ্যমে মহিলা সুরক্ষা আরও মজবুত করে তোলা হবে।

এদিন পুলিশ সুপারের অফিস প্রাঙ্গণ থেকে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু করালেন পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার। সবুজ পতাকা তুলে সহযোগিতা করলেন স্থানীয় যুবতীরা। পরে কর্মসূচিতে উপস্থিত যুবতী এবং অন্যান্য মহিলাদের আশ্বস্ত করে পুলিশ সুপার বলেন, 'আপনাদের যদি কখনো সুরক্ষার ক্ষেত্রে কোনওরকম সমস্যা তৈরি হয় তাহলে পুলিশের সহযোগিতা পেতে কোনওরকম দ্বিধা করবেন না। বনগাঁ পুলিশ মহিলা সুরক্ষায় সর্বদা সতর্ক থাকবে।'‌‌

‌অনেক সময়েই স্কুলের মেয়েরা কিন্বা অন্যান্য মহিলারা নানাভাবে সম্মানহানীর শিকার হলেও কোথায়, কিভাবে পুলিশের সহযোগিতা পেতে পারেন, সে সম্পর্কে সচেতন থাকেন না। এক্ষেত্রে তাদের সচেতন করতে পুলিশ জেলার ৩০টি স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। পাশাপাশি, জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন অফিস, রাস্তাঘাটে কোথায় কোথায় আরও বেশি করে সিসি ক্যামের বসানোর প্রয়োজন, সেব্যাপারেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পরামর্শ দেবে পুলিশ।

মহিলা সুরক্ষায় জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন অ্যাপ চালু করার পাশাপাশি সমাজের যারা এই ধরনের কাজে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন, তাদেরকে নির্দিষ্ট সময় অন্তর  পুরষ্কৃত করা হবে। রক্ষক বাহিনীর পাশাপাশি পুলিশের উইনার্স বাহিনী, কুইক রেসপন্স টিম সহ অন্যান্য বাহিনীকেও কাজে লাগানো হবে। 





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন