সমকালীন প্রতিবেদন : ফের ভেস্তে গেল আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক এবং রাজ্য সরকারের মধ্যেকার বৈঠক। আর এই ঘটনায় চরম হতাশা প্রকাশ করলেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সমস্তরকম শর্ত ছেড়েই শেষ পর্যন্ত মিটিংয়ে বসতে রাজি হওয়ার পরেও সরকারের পক্ষ থেকে আর বৈঠক করতে রাজি হল না। ফলে বৈঠক ছাড়াই ফের অবস্থান বিক্ষোভ স্থলে ফিরে গেলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
আরজিকর কান্ডের জেরে গত ৩৫ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। নিজেদের দাবির সমর্থনে গত চার দিন ধরে সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আর সেখানেই শনিবার দুপুরে আচমকা হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার আবেদন জানিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে মেল পাঠান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আর তারপর বিকেলের দিকে রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্য সচিব তাদেরকে জানান, সন্ধে ছটা নাগাদ মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাড়িতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুযায়ী বাসে করে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে হাজির হন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
এদিনও বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং এর দাবি জানান জুনিয়র চিকিৎসকেরা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় সেটা সম্ভব নয়। এরপর জুনিয়র চিকিৎসকেরা দাবি করেন, অন্তত দুপক্ষের তরফ থেকে ভিডিও রেকর্ডিং করার অনুমতি দেওয়া হোক। কিন্তু তাতেও রাজি হয় না সরকার পক্ষ। এরপর মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাইরে বেরিয়ে এসে জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর চিকিৎসকেরা ভিডিও রেকর্ডিং এর দাবি থেকেও পিছিয়ে এসে শুধুমাত্র মিটিং এর মিনিটস পাওয়ার দাবি জানিয়ে বৈঠক করতে রাজি হন। ততক্ষণে অবশ্য কেটে গেছে তিন ঘন্টা। আর সেই কারণ দেখিয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জুনিয়র চিকিৎসকদের জানিয়ে দেন, আজ আর মিটিং করা সম্ভব নয়। আপনারা চলে যান। এই পরিস্থিতিতে মিটিং এদিনের মতো বাতিল হয়ে যায়।
এই ঘটনায় চরম হতাশা প্রকাশ করে জুনিয়র চিকিৎসকেরা বলেন, 'আমরা সমস্ত দাবি থেকে সরে এসে শুধুমাত্র মিটিং এর মিনিটসটুকুতেই সন্তুষ্ট থেকে মিটিং করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আমাদের একপ্রকার জোর করে ফিরিয়ে দেওয়া হল। রাজ্য সরকারের আচরণে আমরা হতাশ। আমরা আমাদের আন্দোলনস্থলে ফিরে গিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাব।'
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন