Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শিক্ষক দিবসের গুরুত্ব ও শিক্ষকদের ভূমিকা

 

Teacher-Day

সমকালীন প্রতিবেদন : শিক্ষক দিবস শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা প্রকাশের এক বিশেষ দিন। শিক্ষকরা জাতি গঠনের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। তাঁরা শিক্ষার্থীদের শুধু শিক্ষিত করেই গড়ে তোলেন না, তাঁদের মানবিক ও নৈতিক মূল্যবোধ শেখান। শিক্ষক দিবসের মূল উদ্দেশ্য হল, শিক্ষকদের অবদানের স্বীকৃতি ও সম্মান প্রদর্শন। বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে এই দিবসটি উদযাপিত হয় ভিন্ন ভিন্ন তারিখে এবং বিভিন্নভাবে।

শিক্ষক দিবসের ইতিহাস-

বিশ্বব্যাপী শিক্ষক দিবস পালিত হয় ৫ অক্টোবর। ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো বিশ্ব শিক্ষক দিবস উদযাপনের প্রস্তাব দেয়, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা। তবে, কিছু দেশে যেমন বাংলাদেশ এবং ভারতে, শিক্ষক দিবস ভিন্ন তারিখে পালিত হয়। 

ভারতে শিক্ষক দিবস পাল‌ন-

ভারতে শিক্ষক দিবস পালিত হয় ৫ সেপ্টেম্বর, যা ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণানের জন্মদিন। তিনি একজন মহান শিক্ষাবিদ এবং দার্শনিক ছিলেন। ড. রাধাকৃষ্ণান বিশ্বাস করতেন যে, শিক্ষকরা সমাজের প্রকৃত রূপকার। তাঁর সম্মানে, ১৯৬২ সাল থেকে ভারতে শিক্ষক দিবস পালিত হয়ে আসছে।

বাংলাদেশে শিক্ষক দিবস পাল‌ন-

বাংলাদেশে শিক্ষক দিবস পালন তেমন প্রতিষ্ঠিত নয়। তবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও সামাজিকভাবে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করে শিক্ষকদের সম্মান জানানো হয়। শিক্ষকতা পেশার মর্যাদা ও শিক্ষকদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এখানে শিক্ষক দিবস পালন শুরু করা উচিত বলে অনেকে মনে করেন।

শিক্ষকদের ভূমিকা-

শিক্ষক শুধু পাঠ্যবইয়ের শিক্ষা দিয়ে থাকেন না, বরং তাঁরা ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক হিসেবেও কাজ করেন। একজন ভালো শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষার মাধ্যমে তাঁরা একেকটি সমাজ ও জাতিকে উন্নতির দিকে ধাবিত করেন। একজন শিক্ষক নিজের জীবনকে সবার উন্নতির জন্য উৎসর্গ করেন, যেখানে কেবল পেশাগত দায়িত্ব নয়, মমতা, ধৈর্য, এবং নিষ্ঠা প্রধান ভূমিকা রাখে।

শিক্ষক দিবস উদযাপন-

বিশ্বজুড়ে শিক্ষক দিবসে বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষকদের ফুল, উপহার ও শ্রদ্ধার সাথে সম্মান জানায়। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই দিনটিতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের ভূমিকা পালন করে এবং শিক্ষকরা দর্শকের আসনে থাকেন। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কাজের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারেন।

শিক্ষক দিবসের তাৎপর্য-

শিক্ষক দিবস শিক্ষকদের প্রতি সম্মান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি বিশেষ মাধ্যম। এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, শিক্ষকদের অবদান ছাড়া কোনো সমাজ বা জাতির অগ্রগতি সম্ভব নয়। শিক্ষকদের যোগ্য মর্যাদা প্রদান করা শুধু তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা নয়, বরং শিক্ষার মানোন্নয়নেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। শিক্ষক দিবস আমাদের এই উপলব্ধি করায় যে, শিক্ষকদের সঠিক মূল্যায়ন করা না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়ে তোলা কঠিন হয়ে যাবে।

শিক্ষকরা জাতির প্রকৃত কারিগর। তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শিক্ষক দিবসের মাধ্যমে শিক্ষকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে তাঁদের অবদানকে মূল্যায়ন করা হয়। এই দিবসটি শুধু উৎসব নয়, বরং শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।‌ ভারতে এই দিনটিতে সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষকতার জীবনে বিশেষ ভূমিকা পালন করা শিক্ষকদের বিশেষভাবে সম্মানিত করা হয়।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন