Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

 

Supreme-court

সমকালীন প্রতিবেদন : আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আরজি কর কান্ডে আন্দোলনরত চিকিৎসার কাজে যোগদানের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। সোমবার আরজি কর কান্ড নিয়ে মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই এই নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এদিনও একাধিক অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়।


এদিন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, মৃত তরুণী চিকিৎসাকের দেহ ময়নাতদন্তে নিয়ে যাওয়ার সময় যে চালান দেওয়ার নিয়ম, সেই চালান কোথায়? কারণ, এক্ষেত্রে সেই চালানোর গুরুত্ব যথেষ্ট রয়েছে। এব্যাপারে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা কোনও চালান হাতে পাননি। এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, হাইকোর্টে যে কেস ডায়েরি জমা হয়েছিল, সেখানে চালান জমা করা হয়েছিল।


এদিন সকাল সাড়ে দশটা থেকে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি শুরু হয়। এদিন এই মামলার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য সরকার। রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট জমা পড়ে। এদিন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৩৭৪৭টি সিসি ক্যামেরা কাজ করে তারপরেও আর জি কর হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটে কি করে? এছাড়াও, সিসি ক্যামেরার ছবি সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর চলে।


এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আইনজীবী কপিল সিব্বল বার বার আদালতে উপস্থাপন করেন যে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জেরে রাজ্যে স্বাস্থ্য পরিসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়াও, আরজি কর কান্ড নিয়ে রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন রকমভাবে আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলন সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে পুলিশকে। আন্দোলনের জেরে ইতিমধ্যে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও আদালতকে জানান কপিল সিব্বল।


এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এদিন নির্দেশ দেন যে, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে হবে। আর তাঁদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য সরকার। আন্দোলন করার কারণে এই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কোনোরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থাগ্রহন করতে পারবে না। এমনকি ইচ্ছেমতো অন্যত্র বদলিও করতে পারবে না।


এ ব্যাপারে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা মনে করছেন, তাঁদের এই স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের কারণে যথেষ্ট বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর তাই রাজ্য সরকার চাইছিল, যেভাবেই হোক এই আন্দোলনকে বন্ধ করতে। আর সেই কারণেই এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবী জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের প্রসঙ্গকে উত্থাপন করে আদালতের কাছ থেকে বিশেষ নির্দেশে আশা করছিলেন।


এক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত তাদের উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছে বলে মনে করছেন আন্দোলনরত চিকিৎসাকেরা। তাদের আন্দোলন থেকে সরে এসে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা কি সিদ্ধান্ত নেবেন, তা এখনো পর্যন্ত জানা যায় নি। ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার ফের শুনানি হবে।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন