সমকালীন প্রতিবেদন : ‘বালাজি নিবাস’, যে বাড়ির পূর্বমুখী মুখ্য দুয়ারে রয়েছে দুটো স্বস্তিক চিহ্ন। বাড়িতে ঢোকার দরজায় রয়েছে পঞ্চমুখী হনুমান দেবতার ছবি। গোটা বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে শনি দেবতা, সূর্য দেবতার মুখ। এমনকি বাড়ির এক নির্দিষ্ট দিকে রয়েছে তুলসী গাছও।
ভাবছেন তো, বাস্তুমেনে এমন বাড়ি কার রয়েছে। নিশ্চয়ই কোন বিশেষ ব্যক্তি হবে! হ্যাঁ তিনি বিশেষই বটে। বর্তমান সময়ে সংবাদ শিরোনামে তাঁকেই দেখা যাচ্ছে গত বেশ কিছুদিন ধরে। তিনি হলেন আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। বাস্তুমেনে বেশ সুন্দর করে সাজিয়েছেন নিজের এই প্রাসাদসম বাড়িটি। যাতে করে তাঁর বাড়িতে কোন অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটতে না পারে।
উল্লেখ্য, বেলেঘাটার ৮৩ নম্বর বদন রায় রোডে সন্দীপ ঘোষের ‘বালাজি নিবাসে’ গেলে আপনি দেখতে পাবেন পূর্বদিকের পুরোপুরি ৯০ ডিগ্রি কোণে রয়েছে বাড়ির মুখ্য দরজা। এই মুখ্য দরজার দুপাশে রয়েছে দুটি স্বস্তিক চিহ্ন। এমনকি স্বস্তিক চিহ্ন রয়েছে পাঁচিলের দুপাশেও। বাস্তুমতে, মুখ্যদ্বারে স্বস্তিক চিহ্ন থাকা মানে, আপনার বাড়িতে কোন অশুভ শক্তি প্রবেশ করতে পারবে না।
এরপর আসি মেইন গেটে। মেইন গেট অর্থাৎ বাড়িতে ঢোকার দরজায় রয়েছে পঞ্চমুখী হনুমান দেবতার একটি ছবি। বাস্তুমতে, এই ছবি থাকার অর্থ হল, আপনার বাড়িতে বজায় থাকবে সুখ শান্তি। এতো সবে শুরু। এরপর সন্দীপ ঘোষের প্রাসাদের দোতলার বারান্দার সামনের দিকে পূর্বদিক করে শনি দেবতার মূর্তি ঝোলানো রয়েছে।
আবার তৃতীয় ও চতুর্থ তলে পূর্বদিক করে রাখা আছে কপারের সূর্য দেবতার মুখ। মনে করা হয়, বাস্তুমতে এইভাবে বাড়ি সাজালে বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটতে পারে না এবং বাড়িতে সৌভাগ্যের প্রবেশ ঘটে। আবার বাড়ির ছাদের পূর্বদিকে থাকা স্বস্তিক চিহ্ন এবং হনুমান দেবতার ছবি।
তাঁর বাড়ির ছাদের দক্ষিণ কোণে রয়েছে বজরংবলীর পতাকা, যা শুভ ইঙ্গিতবহনকারী। দোতলার ঈশান কোণে অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব কোণে শুভ শক্তির আহ্বায়ক তুলসী গাছ, অগ্নিকোণে অর্থাৎ দক্ষিণ ও পূর্বদিকের কোণে অর্থের আগমনে রাখা আছে মানিপ্ল্যান্ট।
এমনকি বাড়ির দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে রয়েছে পয়প্রণালী ব্যবস্থা। আর এই সবকিছু দেখেই বোঝা যাচ্ছে পুরোপুরি বাস্তু মেনেই এই বাড়ি বানিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। এখানেই শেষ নয়, তাঁর বাড়ির রংও যে বাস্তুশাস্ত্র মেনেই করা হয়েছে, তাও বোঝা যায় তাঁর বাড়ির রং দেখে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন