সমকালীন প্রতিবেদন : পরিত্যক্ত শৌচাগার থেকে এক অসুস্থ বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করল পুলিশ। ওঅ বৃদ্ধাকে শৌচাগারে আটকে রাখার অভিযোগ উঠল আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। বনগাঁর চড়কতলা এলাকার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, চিত্ত দে নামে এলাকার এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর বাড়িতে অনেকদিন ধরেই রয়েছেন শঙ্করী দে নামে বছর ৬০ বয়সের এক বৃদ্ধা। একসময় তিনি ওই বাড়ির অনেক কাজ করতেন। বর্তমানে তিনি অসুস্থ।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বৃদ্ধা শঙ্করী সম্পর্কে চিত্ত দে–র শ্যালিকা। দিন কয়েক ধরে তাকে ওই বাড়িতে দেখতে পাচ্চিলেন না প্রতিবেশীরা। গতকাল রাতে প্রতিবেশীরা ওই বাড়ির একটি পরিত্যক্ত বন্ধ শৌচাগারের ভেতর থেকে গোঙানির শব্দ পেয়ে বনগাঁ থানায় খবর দেন।
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বনগাঁ থানার পুলিশ পুলিশ ওই বাড়িতে হাজির হয়। এরপর এই বাড়ির পরিত্যক্ত শৌচাগার থেকে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য বনগাঁ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। এই ঘটনায় হতবাক পুলিশকর্মীরাও।
এই ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর কৃষ্ণা রায় বলেন, 'এই ঘটনার নিন্দা করার কোনও ভাষা নেই। একজন মানুষের দায়িত্ব নেওয়ার তার দেখভাল করার দায়িত্ব সেই বাড়ির সদস্যদের। তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করা উচিত ছিল। কিন্তু ওই বাড়ির লোকেরা তা করেননি।'
তিনি আরও বলেন, 'শুনেছি এই বৃদ্ধা নাকি ওই বাড়ির দুরসম্পর্কের আত্মীয়। বাড়ির লোকেরা একসময় ওই বৃদ্ধাকে পুরসভার বৃদ্ধাশ্রমে রাখার জন্য আমার কাছে এসেছিলেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ তাকায় তাকে সেখানে রাখা সম্ভব হয় নি। পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে মানবিক দায়িত্ব পালন করেছে।'
যদিও ওই বৃদ্ধাকে শৌচাগারে আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাড়ির লোকেরা। তাদের বক্তব্য, ওই বৃদ্ধা তাদের দুরসম্পর্কের আত্মীয়। অসুস্থ অবস্থায় তিনি অনেকদিন আগে তাদের বাড়িতে এসেছিলেন। তারাই চিকিৎসা করে তাকে সুস্থ করে তোলেন এবং বাড়িতে আশ্রয় দেন। ওনাকে থাকার জন্য একটি ঘরও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু উনি নিজে থেকেই ওই বাথরুমে গিয়ে থাকতেন। একবার নিজেনিজেই নাকি বনগাঁ স্টেশনে চলে গিয়েছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন