সমকালীন প্রতিবেদন : ‘আর কবে, আর কবে…’, আর জি কর ইস্যুতে সুর চড়াতেই গায়ককে বেসুরো আক্রমণ কুনাল ঘোষের। পড়লেন নেটিজনদের রোষানলে। ‘অরিজিৎ রাস্তায় নামলে সামলাতে পারবেন তো’, প্রশ্ন ছুঁড়লেন নেটিজনরা।উল্লেখ্য, সম্প্রতি আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে গানেগানেই প্রতিবাদ জানালেন স্বনামধন্য গায়ক অরিজিৎ সিং।
একদিকে যখন তিলোত্তমার বিচারের দাবিতে পথে নেমেছেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ, সেইসময় নিজেকে আর আটকে রাখতে পারলেন না এই গায়ক, নিজেই লিখে সুর দিয়ে গেয়ে ফেললেন এক গান, ‘আর কবে আর কবে…।‘ এই গান এখন যেন কাঁটার মত বিঁধছে শাসকদলের গলায়।
অরিজিতের এই গান প্রকাশিত হতেই কিছুটা বাঁকা সুরে স্যোশাল মিডিয়ায় কুনাল ঘোষ লেখেন, ‘মুম্বাই কর্মক্ষেত্র বলেই কি হাথরসের সময় অরিজিতের বিবেক জাগ্রত হয়নি? নাকি টাকা, কাজ এমনকি কেরিয়ারের জন্য চুপ ছিলেন তিনি?’
অরিজিতকে করা এমন মন্তব্যের জবাব কিছুটা অন্যরকমভাবেই দিলেন গায়ক। নিজের এক্স হ্যান্ডেল 'আত্মজআরজলজ' থেকে তিনি লেখেন, ‘ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি’। এটা যে তিনি কুনাল ঘোষকে ইঙ্গিত করেই লিখেছেন, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এরপর নিজের এক্স হ্যান্ডেল প্রাইভেট করার আগে তিনি আরও লেখেন, ‘আপাতত সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানি ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবসের দিকে তাকিয়ে আছি। মিডিয়ায় এখন কত নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। নীল চাদর, সবুজ চাদর রহস্য, ফোন কলে ভুল তথ্য, সেমিনার হলের দুই দরজা… যা দেখে পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, কিছু লোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে’।
অরিজিতকে আক্রমণ করার পর নেটিজনদের রোষের স্বীকার হয়ে কিছুটা নরম সুরে কুনাল ঘোষ ফের স্যোশাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘অরিজিৎ ভালো ছেলে, ভালো গানও গায়। এই তিলোত্তমার বিচারের গানটা বেশ ভালোই গেয়েছে। আমারও সমর্থন রয়েছে এই বিষয়ে। কিন্তু সাক্ষী মালিক, বদলাপুরের সময় কোথায় ছিল অরিজিতের বিবেক? হিন্দির বাজার কাজের জায়গা বলে কি শুধুমাত্র বাংলার জন্য বিবেক জাগ্রত হয়?’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন