এবছর বর্ষার শুরুতে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কম ছিল। তুলনায় বৃষ্টির পরিমাণ বেড়েছে আগস্ট মাস থেকে। যদিও তারপরেও বৃষ্টির ঘাটতি ছিল এই রাজ্যে। গোটা দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। কিছু কিছু জেলায় এখনো পর্যন্ত বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে। নতুন এই নিম্নচাপের জেরে টানা যে তিনদিন বৃষ্টি হবে, তাতে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ কিছুটা কমবে, গরমের হাত থেকেও স্বস্তি মিলবে।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধছে অতি গভীর একটি নিম্নচাপ। আর তার জেরে ঘন্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তাল হবে সমুদ্র। এই হাওয়ার গতিবেগ সময়ের সাথে সাথে আরো বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ক্ষেত্রে মৎস্যজীবীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
আবহাওয়া দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই গভীর নিম্নচাপটি দীঘা থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে রবিবার রাতে অবস্থান করছিল। আগামী দু দিনে এই নিম্নচাপটি ওড়িশা উপকূলের দিকে এগিয়ে যাবে। আর তারই প্রভাবে সোমবার থেকে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, দুই মেদিনীপুর- এইসব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে এই নিম্নচাপের জেরে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে এই বৃষ্টির পরিমাণ আরো বাড়বে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, নদীয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম বর্ধমান- এইসব জেলাগুলিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন