সমকালীন প্রতিবেদন : স্কুলের একাধিক অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে প্রধান শিক্ষকের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিল স্কুলের কিছু পড়ুয়া। পাশাপাশি তাদের দাবি, স্কুলের স্বার্থে অবিলম্বে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। নিজেদের দাবির সমর্থনে স্কুলের ভেতরে মিছিলও করে পড়ুয়ারা। সোমবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছাড়ালো বাগদার বেয়াড়া হাইস্কুলে।
স্কুল সূত্রে জানা গেছে, এক সময়কার এই স্কুলের পড়ুয়া স্বপন দত্ত পরবর্তীতে এই স্কুলেই শিক্ষকতার চাকরি পান। প্রায় ৩৪ বছর ধরে তিনি এই স্কুলের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর দাবি অনুযায়ী, এই স্কুল গড়ার জন্য তাঁদের পরিবারের পক্ষ থেকে জমিও দান করা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই স্কুলের প্রতি তাঁর টান অনেকটাই বেশি।
এই স্কুলে স্থায়ী প্রধান শিক্ষক না থাকায় স্কুল পরিচালন কমিটি তাঁকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেয়। স্কুলের অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্কুলের উন্নয়নের কাজ একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে স্কুলে নানারকম অনিয়ম ধরা পড়ছে।
এদিন স্কুলে বিক্ষোভরত ছাত্রদের অভিযোগ, বিদ্যুতের বিল সঠিক সময়ে পরিশোধ না করায় সম্প্রতি বিদ্যুৎ দপ্তর থেকে স্কুলের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেওয়া হয়। পরিস্থিতি সামলাতে তড়িঘড়ি স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যুতের বিল মিটিয়ে দেয়। এর পাশাপাশি, স্কুলে নাইট গার্ড বা চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থাকা সত্ত্বেও তারা সঠিকভাবে কাজ করেন না। ফলে স্কুলের যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থাকে।
পড়ায়াদের একাংশের অভিযোগ, এইসব অনিয়মের পেছনে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন দত্তর গাফিলতি দায়ী। তাই তাঁকে অবিলম্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আর এই দাবিতে এদিন তাঁর অফিস ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয় স্কুলের কতিপয় পড়ুয়া। আর তারপরেই স্কুলে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি স্কুলে হাজির হন এই স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি এবং অন্যান্য সদস্যরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা জরুরী বৈঠক করেন। যদিও বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়, তা সংবাদমাধ্যমের কাছে পরিষ্কার করে জানাননি স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি।
তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক স্বপন দত্ত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বহিরাগত কিছু মানুষ চক্রান্ত করে স্কুলের কয়েকজন ছাত্রকে ক্ষেপিয়ে তুলে এইরকম কান্ড ঘটাচ্ছে। তাঁর দাবি অনুযায়ী, তিনি সবাইকে নিয়ে স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করছেন। আর তাঁর কাজের ধরন সম্পর্কে স্কুল পরিচালন সমিতিও অবগত আছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন