সমকালীন প্রতিবেদন : তিনদিনের স্নায় যুদ্ধের পর রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার আয়োজন থাকলেও শেষপর্যন্ত তা ভেস্তে গেল। নবান্নে পৌঁছেও জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি মেনে বৈঠকের লাইভ সম্প্রচারে সরকার রাজি না হওয়ায় সেই বৈঠক শেষ পর্যন্ত ভেস্তে গেল।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার ফের আলোচনার চিঠি পেয়ে নবান্নে বৈঠকে বসতে রাজি হন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ১৫ জনের প্রতিনিধির বদলে রাজ্যের ২৬ টি সরকারি কলেজের থেকে মোট ৩২ জনের একটি প্রতিনিধি দল এদিন বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্য সচিব আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য ইমেইল মারফত চিঠি পাঠান। আর এই মেইল পাওয়ার পরে জুনিয়র চিকিৎসকেরা আজ বৈঠকে বসার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন। যদিও তাঁরা পুরনো দাবীকে সামনে রেখেই এই বৈঠকে বসতে চান বলে জানিয়ে দেন।
উল্লেখ্য, আরজি কর কান্ডকে কেন্দ্র করে গত তিনদিন ধরে স্বাস্থ্য দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন রাজ্যের সব মেডিকেস কলেজের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। সেই কর্মসূচিকে জারি রেখেই আজ নবান্নের সভাকক্ষে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে রাজ্য সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি হন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।
বিকেল পৌনে পাঁচটার মধ্যে নবান্নে পৌঁছানোর কথা থাকলেও সেখানে পৌঁছাতে বেশ কিছুটা সময় দেরি হয়। স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে একটি বিশেষ বাসে করে ৩২ জনের প্রতিনিধি দল নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা হয় সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী ১৫ জনের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকের কথা থাকলেও ৩২ জনকে নিয়ে নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা হন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি, গোটা বৈঠকটি সরাসরি সম্প্রচারের দাবিতে অনড় থাকেন আন্দোলনকারীরা।
এদিকে এই সভাকে কেন্দ্র করে এদিন সাজো সাজো রব ওঠে নবান্নে। বিশাল পুলিশ বাহিনীকে মোতায়েন করা হয় নবান্নের সামনে। নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া জুনিয়র চিকিৎসকদের বিশেষ বাসকে পুলিশি প্রহরায় নবান্নে নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্য ভবন থেকে মা ফ্লাইওভার, পিটিএস, দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে পাঁচটা তেইশ মিনিট নাগাদ নবান্নের সামনে এসে পৌঁছায় সেই বাস।
প্রসঙ্গত, এদিনই স্বাস্থ্য ভবন থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিঠি পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয় যে, কোন কোন হাসপাতালে কত জন জুনিয়র চিকিৎসক এই আন্দোলনে যোগদান করেছেন, তাদের নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়। অন্যদিকে, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজ্যের সিনিয়র চিকিৎসকেরা।
এদিন নবান্নে পৌঁছানোর পর ৩২ জন প্রতনিধিকে সভায় উপস্থিত থাকান অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রত্যেককে সাক্ষর করানো হয়। কিন্তু সভার লাইভ সম্প্রচার করা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে টানাপোড়েন চলে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, দুপক্ষের থেকেই রেকর্ডিং করা গেলেও লাইভ সম্প্রচার সম্ভব নয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন