সমকালীন প্রতিবেদন : সুরক্ষার প্রশ্নে বনগাঁ পুলিশ জেলার উদ্যোগে ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম চালু করা হলো যেখানে একই ছাতার নিচে পুলিশের বিভিন্নরকম পরিষেবার উপর নজরদারি এবং নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। শনিবার জেলা পুলিশ কার্যালয়ে তারই উদ্বোধন হলো।
আর জি করের ঘটনার পর থেকেই রাজ্যজুড়ে মহিলা সুরক্ষার উপর নানারকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এব্যাপারে প্রশাসন আরো কঠোর পদক্ষেপ করতে বিভিন্নরকম উদ্যোগ নেওয়া শুরু করেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে ইতিমধ্যেই বনগাঁ পুলিশ জেলায় বেশ কিছু ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
ইতিমধ্যেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে 'দশভূজা' নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে বিভিন্নভাবে মহিলাদের সুরক্ষা আরো নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে একদিকে যেমন নারীরা আত্মরক্ষায় স্বাবলম্বী হবেন, অন্যদিকে যে কোন বিপদের মুহূর্তে দ্রুত পুলিশের সহযোগিতা পাবেন।
এর পাশাপাশি অপরাধ রুখতে এবং অপরাধীদের সনাক্ত করতে পুরসভার পাশাপাশি গোটা পুলিশ জেলায় সরকারি উদ্যোগে প্রচুর পরিমাণে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রেও যাতে সেইসব সংস্থা তাদের প্রতিষ্ঠানে সিসি ক্যামেরা বসান, তারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই সমস্ত বিষয়টি একই জায়গায় বসে প্রযুক্তির মাধ্যমে যাতে নিয়ন্ত্রণ এবং পরিষেবা প্রদান করা যায় তার জন্যই ইন্টিগ্রেটেড কন্ট্রোল রুম চালু করা হলো। শনিবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত মহা নির্দেশক (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি (বারাসত) ভাস্কর মুখার্জী, বনগাঁর পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন্ত কবিরাজ সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা।
এর পাশাপাশি, এদিন সবুজ পতাকা নেড়ে পিংক পুলিশ পেট্রোলের দুটি গাড়ির পরিষেবা চালু করলেন রাজ্য পুলিশের পদস্থ আধিকারিকেরা। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, মহিলা নিরাপত্তা সহ যেকোনো দুষ্কর্মের ক্ষেত্রে আক্রান্ত ফোন করার পর অতি দ্রুততার সাথে পুলিশ যাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারে, তার জন্য এই কন্ট্রোল রুম যথেষ্ট কাজে আসবে।
এই কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ার করেও নজরদারি চালানো হবে। এদিন যে পিঙ্ক পুলিশ পেট্রোলের গাড়ির উদ্বোধন করা হলো, সেই গাড়ি দুটি আপাতত বনগাঁ থানা এলাকার মধ্যে মহিলা পুলিশের মাধ্যমে নজরদারি চালাবে। আগামী দিনে সমস্ত থানাতেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানালেন পুলিশ সুপার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন