Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

১৭ বছর পর ফের হতে পারে ঐতিহাসিক টুর্নামেন্ট

 

Historic-tournament

সমকালীন প্রতিবেদন : ক্রিকেট বিশ্বে বরাবর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত ভারত ও পাকিস্তান। প্রতিবেশী হলেও এই দুই দেশ যখন বাইশ গজে নামে, তখন আলাদা উত্তেজনা তৈরি হয় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী হলেও দুই দেশের খেলোয়াড়দের একসাথে খেলতে হতো একটি বিশেষ টুর্নামেন্টে। অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপে এমনটা হতো। 

তবে সেসব ইতিহাস হয়ে গেছে প্রায় দুই দশক আগেই। কারণ, শেষবার অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ হয়েছিল ১৭ বছর আগে। তখন সৌরভ, কুম্বলেদের সঙ্গে খেলেছিলেন আফ্রিদি, আখতাররা। ফের সেই ঐতিহাসিক টুর্নামেন্ট আয়োজন করার তোড়জোড় চলছে বলে খবর মিলেছে। আর তেমনটা হলে কোহলি, বাবর কিংবা বুমরাহ, শাহীনদের একই দলে খেলতে দেখা যেতে পারে। 

২০০৫ সালে প্রথমবারের জন্য অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ আয়োজিত হয়েছিল। সেই সময় একই সঙ্গে খেলতে দেখা গিয়েছিল শাহিদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, রাহুল দ্রাবিড়, অনিল কুম্বলেদের। ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারেরা মিলে তৈরি হতো এশিয়ার সেরা দল। এশিয়ান ক্রিকেট সংস্থার অধীনে খেলত সেই দল। 

অন্যদিকে, আফ্রিকা একাদশ তৈরি হতো দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবোয়ে, নামিবিয়া এবং কেনিয়ার ক্রিকেটারদের নিয়ে। তবে সেই টুর্নামেন্ট রাজনৈতিক কারণে বন্ধ হয়ে যায় ২০০৭ সালে। গত ১৭ বছর ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সম্প্রচারের অসুবিধার কারণে তার পর থেকে আর এই অ্যাফ্রো-এশিয়া কাপ শুরু করা সম্ভব হয়নি।

তবে খবর মিলেছে যে, এবার সেই ঐতিহাসিক প্রতিযোগিতা ফিরতে পারে। কারণ, ফের সেই টুর্নামেন্ট শুরুর চেষ্টা হচ্ছে। আফ্রিকা ক্রিকেট সংস্থার প্রাক্তন কর্তা সুমোদ দামোদর বলছেন, এই টুর্নামেন্ট না হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে তিনি দুঃখিত। তবে এবার এই প্রতিযোগিতা হতে পারে। 

তিনি নিজে আইসিসির চেয়ারম্যান জয় শাহ এবং এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহিন্দা ভালিপুরমের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করা এতটাও সহজ নয়। কারণ, এখনো ভারত এবং পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি। আবার এই ধরনের টুর্নামেন্টের জন্য সূচি তৈরি করাও কঠিন। 

বিভিন্ন লিগ এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের মধ্যে সময় বের করে সূচি বানাতে হবে, যা বেশ কঠিন কাজ। তাছাড়া, আইসিসি বা এসিসি এই টুর্নামেন্টে আগ্রহী কিনা, সেটাও জানা নেই। তবে জল্পনা কিন্তু শুরু হয়েছে। আর সেই কারণেই ভারত ও পাকিস্তান- দুই দেশের ক্রিকেট সমর্থকরা নতুন কিছু দেখার জন্য অপেক্ষা করতে শুরু করে দিয়েছেন। 




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন