Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পদ্মার ইলিশ ঢুকলো এই বঙ্গে, সাধারণের সাধ্যের মধ্যে কতটা থাকবে, প্রশ্ন তাই নিয়ে

Hilsa-of-Padma

সমকালীন প্রতিবেদন : বাঙালীর চিরস্বাদের পদ্মার ইলিশ অবশেষে এই বছরের মতো প্রথমবার ঢুকলো এই রাজ্যে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে প্রথম ধাপে ইলিশের দুটি ট্রাক প্রবেশ করলো। এদিন রাতের মধ্যে আরও ৪টি ট্রাক প্রবেশ করার কথা রয়েছে বলে জানালেন পেট্রাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী। 

বাংলার পদ্মার ইলিশের চাহিদা চিরকালীন। আর তাই এই রুপোলী শস্য এপার বাংলাদের ইলিশপ্রিয় বাঙালির পাতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকেন এপার বাংলার মৎস্য ব্যবসায়ীরা। একসময় ফি বছর নিয়ম করে ওপার বাংলা থেকে ইলিশ আমদানি হলেও পরিস্থিতির কারণে কয়েক বছরের জন্য তা বন্ধ হয়ে যায়।

অবশেষে দুই দেশের প্রচেষ্টায় গত কয়েক বছর ধরে ইলিশ আমদানি শুরু হয়েছে। কিন্তু এবছর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায় ইলিশ আমদানি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এপার বাংলার ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধানের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে ইলিশ রপ্তানীতে অনুমতি দেওয়ার আবেদন জানান এই বাংলার ব্যবসায়ীরা।

শেষ পর্যন্ত সেই আবেদনে সাড়া দেয় বাংলাদেশের অর্ন্তবর্তী সরকার। ২৫ সেপ্টেম্বর, বুধবার সেদেশের বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের উপসচিব সুলতানা আক্তার এক নির্দেশনামায় জানান, এবছর বাংলাদেশের ৪৯টি রপ্তানীকারী সংস্থা মোট ২৪২০ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ ভারতে রপ্তানী করতে পারবে। সেব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেওয়া হল। ১২ অক্টোবরের মধ্যে এই মাছ ভারতে রপ্তানী করতে হবে। 

এই নির্দেশনামা হাতে পাওয়ার পর এইদিন রাতেই ট্রাক বোঝাই হতে থাকে ইলিশ মাছ। বৃহস্পতিবার দুপুরে তারই দুটি ট্রাক বেনাপোল হয়ে পেট্রাপোল সীমান্তে এসে পৌঁছায়। আমদানিকৃত মাছের ওজন গড়ে এক থেকে দেড় কিলোগ্রাম। এদিনই মাছের কার্টুনগুলি ট্রাক বদল করে ভারতীয় ট্রাকে করে কলকাতা এবং হাওড়ার পাইকারি বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে যায়। 

ইলিশ আমদানির খবরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি ব্যবসায়ীরা। তবে একটু ভিন্ন সুর শোনা গেল এই রাজ্যের ফিস ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অতুল দাসের মুখে। এদিন তিনি জানালেন, এখন ইলিশ ধরা পড়ার সময় প্রায় শেষ বাংলাদেশ সরকার এই অনুমোদনটি আগস্ট মাসে দিলে অনেক বেশি কার্যকরী হতো।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, মূলত বর্ষার সময় অর্থাৎ জুন থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ইলিশ মাছ বেশি পরিমানে ধরা পড়ে। ফলে আগস্ট মাস থেকে আমদানি শুরু করে অনুমোদনকৃত মাছের প্রায় সবটাই জোগাড় করা সম্ভব হতো। এই সময়ে অনুমোদন পাওয়া মাছের অনেকটাই জোগাড় করা সম্ভব হবে না বলে তাঁর ধারণা। গত কয়েক বছর তেমনই ঘটছে।

বাংলাদেশ থেকে আমদানি হওয়া এই ইলিশ মাছগুলি প্রথমে কলকাতা, হাওয়া এবং শিলিগুড়ির পাইকারি বাজারে পোঁছাবে। তারপর সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন খুচরো বাজারে পৌঁছাবে। তবে এই মাছ কেনার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কতটা সাধ্যে কুলোবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ, ব্যবসায়ীদের ধারণা, এই মাছ খুচরো বাজারে কিলোপ্রতি ২ হাজার টাকার কমে বিক্রি হবে না।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন