সমকালীন প্রতিবেদন : নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে সরকারি প্রকল্পের শৌচাগারের ঢাকনা তৈরি করা হয়েছিল। আর সেই ঢাকনা ভেঙে মৃত্যু হল এক স্কুল পড়ুয়ার। মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটেছে বনগাঁ থানার সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পিপলিপাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার বিকেলে বাড়ির ভেতরেই নিজের কাজে ব্যস্ত ছিল বছর ১৩ বয়সের সন্দীপ মজুমদার। সে স্থানীয় একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। এদিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত তাকে দেখতে পেয়েছেন পরিবারের লোকেরা। তার পর থেকে তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত পর্যন্ত অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অবশেষে এদিন রাতে বাড়ির লোকেরা দেখতে পান যে, বাড়ির ভেতরে থাকা শৌচাগারের ঢাকনার একটি অংশ ভাঙা। তখন তাঁদের সন্দেহ হয়। তারপর কুয়োর ভেতরে টর্চের আলো ফেলতেই দেখা যায়, তার ভেতরে পড়ে রয়েছে ওই বালক। পরিবারের লোকেরা তাকে দ্রুত সেখান থেকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। স্থানীয় এক বিজেপি নেতার অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে শৌচালয়ের কুয়োর ঢাকনা তৈরি করার জন্যই এমন মর্মান্তেক ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে এই ঘটনার জন্য স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন তিনি।
এব্যাপারে স্থানীয় সুন্দরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক প্রতিনিধি জানান, বছর চারেক আগে একটি সংস্থাকে দিয়ে এই প্রকল্পের কাজ করানো হয়েছিল। এব্যাপারে তদন্ত করী হবে। যদি দেখা যায় তাদের গাফিলতি রয়েছে, তাহলে সে ব্যাপারে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন