সমকালীন প্রতিবেদন : প্রথমদিনে বাংলাদেশ পেসারদের পর দ্বিতীয় দিনে চেন্নাইয়ের পিচে আগুন ঝরালেন ভারতের পেসাররা। জশপ্রীত বুমরাহদের দাপটে ১৫০ রানও তুলতে পারলেন না শাকিব আল হাসানরা। মাত্র ১৪৯ রানে শেষ হয়ে গেল টাইগার ব্রিগেডের ইনিংস।
চার উইকেট তুলে নিলেন বুমরাহ। দুটি করে উইকেট গিয়েছে আকাশদীপ এবং মহম্মদ সিরাজের ঝুলিতে। ফলো অন করার সুযোগ থাকলেও ভারত অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে। দিনের শেষে ভারতের রান ৩ উইকেট হারিয়ে ৮১।
প্রথম ইনিংসে ভারতের ৩৭৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই সমস্যায় পড়ে বাংলাদেশ। বুমরাহ-সিরাজের গতির সামনে রীতিমতো কাঁপতে দেখা গিয়েছে দুই ওপেনারকে। প্রথম ওভারেই শাদমান ইসলামের উইকেট তুলে নিয়েছেন বুমরাহ। তার পর চেন্নাইয়ে দাপট আকাশদীপের।
পর পর দুই বলে তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরান জাকির হাসান এবং মোমিনুল হককে। মধ্যাহ্নভোজের সময়ে মাত্র ২৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল টাইগার ব্রিগেড। দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারিয়ে আরও চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেন শাকিব এবং লিটন দাস। লোয়ার অর্ডারে নেমে ২৭ রানের ইনিংস খেলেন মেহেদি হাসান মিরাজও। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ের দুরাবস্থা ঢাকতে পারেননি কেউই। ভারতের গতির সামনে মাত্র ১৪৯ রানে গুটিয়ে যায় টাইগার ব্রিগেড।
বোলারদের মধ্যে এদিন সেরা পারফরম্যান্স করেছেন বুমরাহ। ১১ ওভার বল করে দিয়েছেন ৫৫ রান, নিয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন জাদেজা, আকাশদীপ, সিরাজরা। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেই রোহিতের উইকেট খুইয়েছে ভারত। মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ভারত অধিনায়ক।
শুরুটা ভালো করেছিলেন বিরাট কোহলিও। কিন্তু তারপরও বড় রান করতে পারলেন না। ৩৭ বলে ১৭ রান করে আউট হয়ে গেলেন। রান পেলেন না যশস্বী জয়সওয়ালও। ক্রিজে রয়েছেন শুভমান গিল ও ঋষভ পন্থ। তবে এই ম্যাচে এখন যথেষ্ট শক্তিশালী জায়গায় রয়েছে ভারতীয় দল। হয়তো এই টেস্ট জিততে ভারতকে খুব একটা বেগ পেতে হবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন