সমকালীন প্রতিবেদন : এক সময় ১৪৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারতীয় ইনিংস। সেই সময় ব্যাটে নেমেই পাল্টা আক্রমণ শানান আর অশ্বিন। দিনের শেষে তিনি অপরাজিত ১০২ রান করে মাঠ ছাড়লেন। দুরন্ত ইনিংস খেললেন রবীন্দ্র জাডেজাও। তাঁর সংগ্রহ ৮৬ রান।
অশ্বিন ও জাডেজার রেকর্ড পার্টনারশিপে ভর করেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৯ রান তুলে দিন শেষ করল ভারত। এটি অশ্বিন ও জাডেজার পঞ্চম শতরানের পার্টনারশিপ। তাঁরা ইতিমধ্যেই ১৯৫ রান যোগ করে ফেলেছেন।
ম্যাচ শুরুর তিন দিন আগে থেকেই চেন্নাইয়ের পিচ নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। স্পিন নির্ভর চেন্নাইয়ে লাল মাটির পিচে খেলা হওয়ার কথা শোনা যাচ্ছিল, যে ধরনের পিচ সাধারণত পেসারদের সাহায্য করে। বৃহস্পতিবার দেখা গেল লাল মাটির পিচেই খেলবে ভারত-বাংলাদেশ।
তাই টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্তর। তাঁর সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন পেসার হাসান। প্রত্যেক ব্যাটারের বিরুদ্ধে যে তিনি পরিকল্পনা করে নেমেছেন, তা আউট হওয়ার ধরনে বোঝা গিয়েছে। রোহিত ও বিরাট অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মারতে গিয়ে আউট হয়েছেন।
শুভমন আবার লেগ স্টাম্পের বল ফাইন লেগে খেলতে গিয়ে আউট হয়ে ফিরেছেন। তিন উইকেট পড়ার পরে যশস্বী জয়সওয়াল ও ঋষভ পন্থ জুটিগড়ার চেষ্টা করেন। মধ্যাহ্নভোজ পর্যন্ত তাঁরা কোনও উইকেট পড়তে দেননি। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনের শুরুতেই আবার উইকেট নেন হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পন্থকে আউট করেন তিনি।
ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে ভারতকে ম্যাচে রাখলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। টেস্টে ষষ্ঠ শতরান করে ফেললেন তিনি। ১১২ বলে ১০২ রানে অপরাজিত অশ্বিন। তাতেই ম্যাচ ধীরে ধীরে ভারতের দিকে ঘুরতে শুরু করে। দিনের শেষে ৩৩৯ রান তুলে ভাল জায়গায় ভারত।
দিনের শুরুতে উইকেট তুলে হাসানেরা যে চাপ তৈরি করেছিলেন, তা শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয়নি বাংলাদেশের পক্ষে। প্রশংসা করতে হবে জাদেজারও। দিনের শেষে ১১৭ বলে ৮৬ রান করে অপরাজিত তিনি। বল হাতে অশ্বিন-জাডেজা জুটি যেমন ম্যাচ জেতান, এখন ব্যাট হাতেও সেটাই করছেন। তাঁরা না থাকলে সমস্যায় পড়ত ভারত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন