Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বনগাঁয় আধুনিক প্রযুক্তিযুক্ত আদালত ভবন নির্মাণ প্রকল্পের শিলান্যাস

 ‌

Court-building-with-modern-technology

সমকালীন প্রতিবেদন : আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে 'পেপারলেস কোর্ট'‌ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হলো বনগাঁয়। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির হাত ধরে বৃহস্পতিবার সেই প্রকল্পের শিলান্যাস হল। কেন্দ্র এবং রাজ্যের আর্থিক সহযোগিতায় এই প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। 

বনগাঁ মহকুমা আদালতটি স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়কার। সেই সময়কার চাহিদা মেনে ছোট ছোট ভবন বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে তৈরি করা হয়েছিল। আজ তার অনেকগুলি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে বিচার কাজে সমস্যাও হচ্ছে।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আদালতে মামলার পরিমাণও বেড়েছে। সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে অন্যান্য মামলার পাশাপাশি অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলার সংখ্যাও অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবেই বিচারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কার্যালয়ের পরিকাঠামোর চাহিদাও বাড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে নতুন করে পরিকাঠামো তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বনগাঁ আদালত চত্বরে এবার তৈরি হবে ইন্টিগ্রেটেড কোর্ট কমপ্লেক্স। এর জন্য মোট ১৮ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই প্রকল্পেরই শিলান্যাস হলো। 

এদিন সকালে ভার্চুয়ালি এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি দেবাংশু বসাক, বিচারপতি সাব্বার রশিদ, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ অন্যান্যরা। বনগাঁ আদালত চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জেলা ও দায়রা বিচারক সুদীপ্ত কুমার দে, পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার সহ অন্যান্য বিচারপতি, প্রশাসনের আধিকারিক এবং আইনজীবীরা। 

প্রধান বিচারপতি এই প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, বনগাঁ আন্তর্জাতিক সীমান্ত হওয়ায় এখানে সেই সংক্রান্ত অপরাধের সংখ্যাও বেশি। সেইজন্য এখানে একটি আধুনিক পরিকাঠামো যুক্ত আদালত তৈরির প্রয়োজন ছিল। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে প্রস্তাবিত এই আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলবে। 

প্রধান বিচারপতির অনুমতিক্রমে বনগাঁয় প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেন জেলা ও দায়রা বিচারক সুদীপ্ত কুমার দে। এই প্রকল্পের ব্যাপারে তিনি বলেন, আপাতত জি প্লাস ফোর মডেলে এই ভবন নির্মিত হবে। আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে যতটা সম্ভব পেপারলেস বিচার ব্যবস্থা এখানে চালু করা হবে। এর জন্য বিভিন্ন রকমের পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। 

আশা করা হচ্ছে, নতুন এই পরিকাঠামো চালু হয়ে গেলে বিচারের দীর্ঘসুত্রিতা অনেকটাই কমবে। উপকৃত হবেন বনগাঁ অঞ্চলের বিচারপ্রার্থীরা। আপাতত নতুন ভবনে ৮ টি আদালত কক্ষ এবং ১২ টি অন্যান্য কার্যালয় তৈরি করা হবে। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই পূর্ত দপ্তর এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবে। পরবর্তীতে প্রয়োজনমতো এই ভবনটিকে অষ্টম তলা পর্যন্ত নির্মাণ করার সুযোগ থাকছে।‌ 



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন