Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বনগাঁ হাসপাতালের নিরাপত্তায় একগুচ্ছ পরিকল্পনা পুলিশের

 

Bangaon-Hospital-security

সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের, বিশেষ করে মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে একগুচ্ছ পরিকল্পনা করলো বনগাঁ জেলা পুলিশ। হাসপাতালের নিজস্ব বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীদের পাশাপাশি জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের পুলিশকর্মীরা এই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। 

সাম্প্রতিককালে আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা ছাপ ফেলেছে রাজ্য তথা দেশ, এমনকি বিদেশের সচেতন মানুষকেও। আগামীদিনে যাতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে কর্মরত মহিলা চিকিৎসক, নার্স সহ অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে, তারজন্য নানাভাবে তৎপরতা শুরু হয়েছে। 

এই মুহূর্তে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে তিন শিফটে বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। এই হাসপাতালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার একটা বড় অংশের পাশাপাশি নদীয়া জেলার একটি অংশের মানুষও চিকিৎসা পরিষেবা পেয়ে থাকেন। স্বাভাবিকভাবেই রোগীর চাপ তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে এই হাসপাতালে। 

এই পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে আরো বেশি সচেতন হচ্ছেন জেলা পুলিশের আধিকারিকরা। এই মুহূর্তে এই হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে চিকিৎসক, নার্স এবং অন্যান্য মিলিয়ে ২০২ দুজন মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। নিয়ম অনুসারে তাঁদেরকেও রাতে ডিউটি করতে হয়। 

হাসপাতালের বিভিন্ন এলাকায় সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের কর্তারা হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে উপলব্ধি করেছেন যে, হাসপাতাল চত্ত্বরে আপাতত আরো ১৪টি সিসি ক্যামেরা বসানোর প্রয়োজন। অতি দ্রুত সেগুলি বসানো হবে। 

শুক্রবার বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে জেলার পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার জানান, হাসপাতালের বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীরা যেভাবে ডিউটি করছেন, তাঁদের পাশাপাশি জেলা পুলিশের একটি আলাদা ব্যবস্থাপনা রাখা হচ্ছে। অর্থাৎ হাসপাতালে দ্বিস্তর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

এক্ষেত্রে বনগাঁ থানার একটি আরটি মোবাইল ভ্যান ২৪ ঘন্টার জন্য থাকছে, পুলিশের ফুট পেট্রোলিং, তিনজন অফিসার, ১৬ জন কনস্টেবল সহ মহিলা পুলিশ কর্মী নিয়োগ, একটি ডেটিকেটেড ফোন নম্বর এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সকাল, সন্ধ্যায় হাসপাতাল চত্বর ভিজিট করবেন। থাকছে পুলিশের '‌রক্ষক' পেট্রোল টিম।

বিশেষ কাজে এদিন পুলিশ সুপার নিজে হাসপাতালে যেতে না পারলেও হাসপাতালের নিরাপত্তার খতিয়ে দেখতে শুক্রবার হাসপাতাল পরিদর্শনে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন্ত কবিরাজ, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক অর্ক পাঁজা সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা।‌



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন