সমকালীন প্রতিবেদন : বনগাঁ থেকে বাগদা পর্যন্ত প্রস্তাবিত রেলপথ নিয়ে ফের নাড়াচাড়া পড়ল। বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর এব্যাপারে সংসদে নতুন করে সরব হওয়ায় আজ রবিবার রেলের পক্ষ থেকে এলাকা পরিদর্শনে আসেন এক প্রতিনিধি দল। সাংসদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বনগাঁ সংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মন্ডল।
বনগাঁ মহকুমার নদীয়া সীমান্ত লাগোয়া বাগদা এলাকায় পৌঁছানোর জন্য সড়ক পথই একমাত্র ভরসা। এই পথে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। নদীয়া জেলার একাংশের মানুষও এই সড়কপথে বনগাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। আর সেই কারণে দুই জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে এই অঞ্চলে রেলপথ চালু করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
২০১০ সাল নাগাদ ভারতীয় রেল এই পথে রেললাইন বসানোর উদ্যোগ নেয়। প্রাথমিক পর্যায়ে বনগাঁ থেকে চাঁদা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় এই রেলপথ বসানোর উদ্যোগ নেয় ভারতীয় রেল। সেই সময় ৫৭ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়। প্রস্তাবিত এলাকায় রেলের যে নিজস্ব জায়গা আছে, সেই অংশে কিছু কাজও হয়।
কিন্তু এরপর জমিজটের কারণে সেই কাজ আর এগোয়নি। ২০১৯ সাল থেকে সেভাবেই এই প্রজেক্ট এর কাজ বন্ধ রয়েছে। এই লোকসভা নির্বাচনের আগে শান্তনু ঠাকুর যখন বাগদা এলাকায় প্রচারে যান, তখন পুরনো সেই রেলপথ বসানোর দাবি তোলেন এলাকার মানুষ। তখন শান্তনু ঠাকুর এব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন বলে কথা দিয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দাদের।
আর সেই কথা অনুযায়ী নির্বাচন শেষে সাংসদ হিসেবে পুরনো এই রেল প্রকল্পকে বাস্তবায়নের জন্য উদ্যোগ নেন শান্তনু ঠাকুর। এ ব্যাপারে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি কথাও বলেন। আর তারপর নতুন করে এই বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ শুরু হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজ পূর্বরেলের এক প্রতিনিধিদল বনগাঁয় আসেন।
এদিন পূর্বরেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৫ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বনগাঁর খেদাপাড়া এলাকার রেল ব্রিজ এলাকায় যান। সেখানে রেললাইনের পরিস্থিতি এবং কোন পথে বাগদা অভিমুখে রেললাইন পাতা সম্ভব হবে, তা প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর নেন। প্রকল্পের পুরনো পরিস্থিতি তুলে ধরে এব্যাপারে সাংসদের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত দেবদাস মন্ডল এর সঙ্গে রেলের প্রতিনিধিরা আলোচনা করেন।
এ ব্যাপারে দেবদাস মন্ডল জানান, বাগদা এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি বনগাঁ–বাগদার মধ্যে রেলপথ চালু করার। রেল দপ্তর একসময় এ ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করলেও জমি অধিগ্রহনের সমস্যার কারণে সেই প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শান্তনু ঠাকুরের উদ্যোগে নতুন করে এই প্রকল্পের ব্যাপারে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে।
দেবদাস মন্ডল এর অভিযোগ, 'রেলপথ চালু করার স্বার্থে এলাকার মানুষ জমি দিতে চাইলেও রাজ্য সরকার জমি অধিগ্রহনে আগ্রহী নয়। আসলে তারা উন্নয়ন চায় না। তারা রাজ্যে শুধুমাত্র অরাজকতা চায়। আর সেই কারণেই জমি অধিগ্রহণ করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আর জমি না পেলে রেলপথ বসানো সম্ভব নয়।'
এটা রাজনৈতিক গিমিক কর লাভ নেই। যে কোনো রাজনৈতিক দলের কাছে সম্পূর্ণভাবে অনুরোধ কাজ করে জনগণকে সরাসরি জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই, জনগন ভীষন সচেতন, তাহারা বোঝে কে বা কোন দল, কোন নেতা কি কাজ করলো বা সচেতনতা গড়ে তুলেছেন।
উত্তরমুছুনজয় হিন্দ, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ।