সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলা ক্রিকেটের সঙ্গে ঋদ্ধিমান সাহার আত্মিক যোগাযোগ দীর্ঘদিনের। ইডেন গার্ডেন্সের বাইশ গজকে তিনি চেনেন নিজের হাতের তালুর মতো। তিনি ভারতীয় টেস্ট দলের হয়ে খেলা অন্যতম সেরা কিপার ব্যাটার।
দীর্ঘদিন বাংলার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পর দুই মরশুম আগেই বাংলা ছেড়ে তিনি পাড়ি দিয়েছিলেন ত্রিপুরাতে। সিএবির এক কর্তার কথায় আঘাত পেয়ে একরাশ অভিমান নিয়ে বাংলা ছেড়েছিলেন ঋদ্ধিমান।
তবে এখন সেইসব মান অভিমানের পালা অতীত। কারণ, ঋদ্ধি এবার ফিরে এসেছেন বাংলাতে। জানা যাচ্ছে যে, বাংলার হয়ে ফের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে দেখা যাবে ঋদ্ধিমান সাহাকে। আসন্ন মরশুম শুরুর আগেই তিনি তাঁর কেরিয়ার, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা-সহ নানা বিষয়ে মুখ খুলেছেন।
ইডেন গার্ডেন্সে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন যে, বয়স বাড়লেও বাংলার প্রয়োজনে তিনি তিন ফর্ম্যাটেই খেলতে প্রস্তুত। তবে ঋদ্ধিমান প্রথম একাদশে থাকলে উইকেটকিপার হিসাবে অভিষেক পোড়েলকে বাদ পড়তে হবে।
গত দুই মরসুমে অভিষেক বাংলার জার্সিতে ভালই খেলেছেন। যদিও ঋদ্ধিমান ইঙ্গিত দিয়েছেন, দলের প্রয়োজনে তিনি শুধু ব্যাটার হিসাবেই খেলতে রাজি। দরকারে অভিষেকই উইকেটের পিছনে থাকবেন।
তিনি জানিয়েছেন, 'যদি মনে হয় অভিষেকের কেরিয়ারের জন্য ও উইকেটকিপিং করলে ভাল হয়, তাহলে ওই কিপিং করবে। আমি দলের জন্য ব্যাটার হিসাবে খেলব।' সিএবি সূত্রে খবর, মনোজ তিওয়ারি অবসর নেওয়ায় অধিনায়ক হিসাবে একজন অভিজ্ঞ কাউকে ভীষণ দরকার দলে।
তাই আগামীদিনে দলের নেতা হিসাবে ঋদ্ধিমানকে দেখা গেলেও খুব একটা অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বাংলার হয়ে যিনি নিজের সেরাটা বরাবর দিয়েছেন, তাঁকে সম্মান জানানোর এটাই সেরা উপায় বলে মনে করছেন একাংশ। তবে বাংলার হয়ে কেরিয়ারের নতুন ইনিংস শুরু করলেও বর্তমানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বহু দূরে ঋদ্ধিমান।
ভারতীয় দলে তাঁর ফেরার সম্ভাবনা প্রায় নেই বললেও ভুল হবে না। কিন্তু যাঁর রক্তে ক্রিকেট মিশে থাকে, তাঁর কাছে বয়স কিংবা সুযোগ যে শুধুমাত্র একটা অজুহাত, তা বারেবারে প্রমাণ করেছেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, শচীন টেন্ডুলকার ও ঋদ্ধিমান সাহার মতো ক্রিকেটারেরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন