সমকালীন প্রতিবেদন : ট্রেনের টিটির চাকরি ছেড়ে দেশের হয়ে খেলার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তারপর দেশকে একের পর এক ট্রফি এনে দিয়েছেন। আর সেই সঙ্গে প্রমান করে দিয়েছেন যে, ইচ্ছে আর সাহস থাকলে যেকোনো স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়।
আর এবার ধোনির প্রতিফলন দেখা গেল ভারতের অলিম্পিক পদকজয়ী খেলোয়াড় স্বপ্নিল কুশলের মধ্যে। সম্প্রতি, তিনি প্যারিস অলিম্পিক গেমসের শুটিং বিভাগে ৫০ মিটার থ্রি পজিশন্সে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন।
যদিও মহারাষ্ট্রের এই শার্প-শুটার পেশায় একজন রেলের টিকিট পরীক্ষক। আর এখানেই ধোনির সঙ্গে তাঁর মিল। একইভাবে ধোনিও ভারতীয় রেলের টিটি থেকে দেশের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক হয়েছেন। সেখানে স্বপ্নিল আজ অলিম্পিক মেডেলিস্ট।
জানা গেছে, ২০১৫ সাল থেকে সেন্ট্রাল রেলের হয়ে চাকরি করছেন স্বপ্নিল কুশল। যদিও তাঁর মধ্যে খেলার নেশা ছিল ছোট থেকেই। তাই চাকরি পাওয়ার আগেই স্বপ্নিল ২০১২ সাল থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে শুটিংয়ে দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
যদিও অলিম্পিক্সে সুযোগ পেতে তাঁকে অপেক্ষা করতে হল ১২ বছর। আর প্যারিসে অভিষেক করেই তিনি দেখিয়ে দিলেন যে, তিনি সামান্য একজন রেলকর্মী নন। পদক জিতে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, দ্বিতীয় ধোনি অন্য স্পোর্টস থেকেও তো তৈরি হতে পারে।
আজ স্বপ্নিল অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারেন। আর এবার অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে পদক জেতার পর বড় পুরস্কার পেলেন স্বপ্নিল। তাঁকে দ্বিগুণ প্রোমোশন দিল ভারতীয় রেল। ভারতীয় রেলের টিকিট চেকার হচ্ছেন স্বপ্নিল কুশাল।
রেলের পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে যে, স্বপ্নিল কুশলকে গ্রুপ-সি থেকে গ্রুপ বি-তে প্রোমোট করা হয়েছে। প্যারিস অলিম্পিক্সে দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য তাঁকে এই পুরস্কার দেওয়া হল। মেকানিক্যাল ডিপার্টমেন্ট থেকে তাঁকে অফিসার অন স্পেশাল ডিউটিতে প্রোমোট করা হয়েছে বলেই জানা গেছে।
এভাবেই যেকোনো সাধারণ মানুষের মধ্যে যদি শুধুমাত্র ইচ্ছেশক্তি, সাহস, ধৈর্য্য আর অদম্য জেদ থাকে, তাহলে কোনো স্বপ্ন তার কাছে অবাস্তব হতে পারেনা। স্বপ্নিল কুশলের কেরিয়ার তারই একটা বড় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন