সমকালীন প্রতিবেদন : পরিস্থিতি গোটা হাওড়া জুড়ে। পুলিশকের ব্যারিকেড, জল কামান, কাদানে গ্যাসকে উপেক্ষা করেই দলে দলে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে নবান্নের দিকে। উত্তেজিত জনতা পুলিশের বাধাকে উপেক্ষা করেই, পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙেই এগিয়ে যাচ্ছে নিজেদের আন্দোলনের অভিমুখে।
নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম কলকাতা এবং হাওড়া। আন্দোলনাকারিদের ছত্রভঙ্গ করতে, লাগাতার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের থামানো যাচ্ছে না। তাঁদের একটাই দাবী, ‘দফা এক দাবী এক, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ’। হাওড়া ব্রিজের উপরে পুলিশের সঙ্গে রীতিমত খন্ড যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনকারীরা। কলেজ স্কোয়ারে জলকামানে ইতিমধ্যেই আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
এই বিষয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘যে ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যা করতে হবে, সব আমি করব। মামলা হবে পুলিশের বিরুদ্ধে’।আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে পুলিশের বাঁধার মাঝেই শ্লোগান উঠল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
প্রতিবাদে গর্জে উঠে সাধারণ মানুষের বক্তব্য, ‘পুলিশ চুড়ি পড়ে ঘরে বসে থাকুক। একদিকে আর জি করের চিকিৎসকরা প্রতিবাদে সামিল হয়েছে, আর পুলিশ আমাদের উপর অত্যাচার করছে। কোনরকম রাজনৈতিক পতাকা হাতে না নিয়ে, শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা হাতে নিয়েই আমরা পথে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত না এই সরকার পদত্যাগ করছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই প্রতিবাদ চলতে থাকবে বলে জানান তাঁরা’।
পুলিশের জল কামান, এমনকি কাদানের গ্যাসকে উপেক্ষা করেই এগিয়ে যাচ্ছেন প্রতিবাদীরা। তাঁদের আটকাতে পুলিশ ঘন ঘন কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামানের ব্যবহার করছে। পাল্টা ইট ছুঁড়ছেন প্রতিবাদীরা। আন্দোলন কিন্তু কোনওভাবেই থামানো যাচ্ছে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন