Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০২৪

বনগাঁয় ধর্ষণে অভিযুক্ত শিক্ষককে অন্যত্র বদলির দাবিতে বিক্ষোভ অভিভাবকদের

 

Protest-parents

সমকালীন প্রতিবেদন : ‌ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর সবে জামিনে মুক্তি মিলেছে। আর এইরকম একজন অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলে কাজে যোগ দিলে সেই স্কুলের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই অবিলম্বে ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে অন্যত্র বদলি করার ব্যবস্থা করতে হবে। এমনই দাবিতে সোচ্চার হলেন বনগাঁর চাঁপাবেড়িয়া রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা। 

জানা গেছে, বনগাঁর সাতভাই কালিতলা এলাকার বাসিন্দা মৃন্ময় রায় এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক। গত ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তারই ভাড়াটিয়া এক মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। সেই সময় তিনি গ্রেপ্তার হন এবং জেলে বন্দী হন। প্রায় দু'বছর জেলে থাকার পর সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্ত হয়েছেন। 

এদিকে, জামিনে মুক্তি মেলার পরই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের অনুমতিক্রমে গত শনিবার চাঁপাবেড়িয়া রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির প্রাথমিক বিদ্যাল‌য়ে শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই স্কুলের অভিভাবকদের মধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। 

এমনিতেই এই মুহূর্তে আর জি কর কান্ড নিয়ে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ধর্ষকের শাস্তি হিসেবে ফাঁসি চাইছে সরকার নিজেও। এমন একটি পরিস্থিতিতে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি স্কুলে শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত থাকেন, তাহলে তা যথেষ্ট চিন্তার বলে দাবি করেছেন পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। 

এই পরিস্থিতিতে ওই শিক্ষক যাতে স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন, তার জন্য শুক্রবার স্কুল শুরু হওয়ার আগে থেকেই অভিভাবকেরা হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে যান। তাঁরা দাবি করেন, অবিলম্বে এই শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করতে হবে। না হলে এই স্কুলের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাবে। না হলে প্রয়োজনে তাঁরা তাদের বাচ্চাদের এই স্কুল থেকে সরিয়ে নিয়ে অন্য স্কুলে ভর্তি করাবেন। 

শুক্রবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায় চাঁপাবেড়িয়ে রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দির প্রাথমিক বিদ্যাল‌য়ে। প্রায় এক ঘন্টা ধরে স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও অভিযুক্ত শিক্ষক মৃন্ময় রায় স্কুলে উপস্থিত না হওয়ায় অভিভাবকেরা তাঁদের আন্দোলন এদিনকার মতো প্রত্যাহার করে নেন। 

এব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা বিশ্বাস বলেন, তাঁরা সরকারি চাকরি করেন। আর তাই সরকারি নির্দেশ মেনে নিতে তাঁরা বাধ্য। মৃন্ময় রায় স্কুল শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ নিয়ে স্কুলে জয়েন করতে এসেছিলেন। তাই তাকে স্কুলে জয়েন করানো হয়েছে। তবে তার বিরুদ্ধে অভিভাবকদের যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে সে ব্যাপারে তারা স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে জানাতে পারেন।‌






কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন