Breaking

Post Top Ad

Your Ad Spot

শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০২৪

আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে ফের বনগাঁ শহরে মিছিল

 

Protest-michil

সমকালীন প্রতিবেদন : আর জি কর হাসপাতালের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আজ ফের প্রতিবাদ মিছিল বের হল বনগাঁ শহরে। বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন কলেজের প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা এই মিছিলে পা মেলালেন। পাশাপাশি, পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ছিল বামেদের। 


আর জি কার হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পর কেটে গেছে তিন সপ্তাহ। এখনো সেই ঘটনার কিনারা হয়নি। শুরুতেই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করা ছাড়া তদন্তের কাজ সেইভাবে এগোচ্ছে না বলে অভিযোগ। আদালতের নির্দেশে মামলাটি বর্তমানে সিবিআই এর হাতে গেলেও তাদের কাছ থেকে এখনো পর্যন্ত সেইভাবে সাফল্য কিছু মেলেনি। 


এর পাশাপাশি অভিযোগ উঠছে প্রমাণ লোপাটের। ফলে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা আদৌ শাস্তি পাবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কেন এবং কাদের স্বার্থে এই ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে, তাই নিয়ে সরব হচ্ছে বিভিন্ন মহল। দিন যত এগোচ্ছে, ততই প্রতিবাদের সুর চড়ছে।


গোটা দেশ তথা রাজ্যের পাশাপাশি বনগাঁ শহরেও ইতিমধ্যেই একাধিক প্রতিবাদ মিছিল বের হয়েছে। শনিবার বিকেলে আরো একটি প্রতিবাদ মিছিল দেখলেন বনগাঁর মানুষ। এদিনের মিছিলে বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন কলেজের প্রাক্তন এবং বর্তমান ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। অংশ নেন বহু অভিভাবক এবং শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।


এদিন সন্ধের আগে আগে নীলদর্পণের সামনে একত্রিত হয়েছিলেন প্রতিবাদীরা। এরপর সেখান থেকে প্লাকার্ড, ফেস্টুন হাতে নিয়ে, মুখে স্লোগান দিতে দিতে বনগাঁ শহরের একাংশ পরিক্রমা করে ফের নীলদর্পনে এসে প্রতিবাদ মিছিল শেষ হয়। মিছিল থেকে দাবি ওঠে, অপরাধীদের শাস্তি চাই, নির্যাতিতার বিচার চাই।


অন্যদিকে, আরজিকর কাণ্ডে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বামপন্থীরা। এদিন তাদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এসপি অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। বনগাঁতেও সেই কর্মসূচি কার্যকরী হয়। 


এদিন রামনগর রোড সংলগ্ন এসপি অফিসের অনেক আগেই রাস্তার দুপাশে বাঁশের ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়। বামেদের মিছিল সেখানে পৌঁছাতেই পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়। আর তারপরেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। 


সেখানে দাঁড়িয়েই প্রতিবাদের সুর চড়ান আন্দোলনকারীরা। তাঁদের বক্তব্য, পুলিশ আজকে যেভাবে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে, সেইভাবে যদি আরজিকর কাণ্ডে সক্রিয়তা দেখাতো, তাহলে মানুষের মধ্যে এই প্রতিক্রিয়া তৈরি হতো না। অপরাধীরা এতদিনে সাজা পেত।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন