সমকালীন প্রতিবেদন : ভারতীয় ক্রিকেট দলে বর্তমানে বুমরাহ ও শামির পাশাপাশি প্রধান বোলার হিসেবে নাম উঠে আসে মহম্মদ সিরাজেরও। ক্রিকেটের সব ফরম্যাটে তাঁর বোলিংয়ের জলবা দেখা যায় বাইশ গজে। দেশকে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতানোর কাজেও সিরাজের অবদান ছিল মাঠের বাইরে।
সুযোগ না পেলেও দলের সঙ্গেই ছিলেন গোটা টুর্নামেন্ট। এককথায় বর্তমানে ভারতীয় ক্রিকেটের এক গুরুত্বপূর্ণ নাম হয়ে উঠেছেন তিনি। তাই এবার তাঁকে বড় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বজয়ী এই বোলার এবার পাচ্ছেন সরকারি পুরস্কার।
আর এই পুরস্কার তাঁর পরবর্তী জীবনকে আরো সহজ করে তুলতে সাহায্য করবে। জানা গেছে, এবার মহম্মদ সিরাজকে পুরস্কৃত করতে চলেছে তেলেঙ্গানা সরকার। হায়দ্রাবাদে ভারতের এই ফাস্ট বোলারকে বাড়ি বানানোর জন্য দেওয়া হবে ৬০০ বর্গগজ জমি।
এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে হওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে। এখানেই শেষ নয়, রাজ্যের গর্ব সিরাজকে ডিএসপি পর্যায়ের গ্রুপ-ওয়ান স্তরের চাকরিও দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আর এই চাকরিতে সিরাজের বার্ষিক বেতন হবে ১৪ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সিরাজ দেশের হয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, একদিনের বিশ্বকাপের ফাইনাল ছাড়াও টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছেন। সেইজন্যই এমন উদ্যোগ নিলো তেলেঙ্গানা সরকার।
যদিও সিরাজের ক্রিকেট পূর্ববর্তী জীবন এতটাও সহজ ছিল না। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, 'আমি কেটারিংয়ের কাজ করতাম। পরিবারের লোকেরা বলত পড়াশোনা করতে। কিন্তু আমি ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসতাম।'
তিনি বলেন, 'আমরা ভাড়াবাড়িতে থাকতাম। বাবা একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। একটা শতরান করলে বা দুশো টাকা পেলে সেটা নিয়েই খুশি থাকতাম। তার মধ্যে ১০০-১৫০ টাকা বাড়িতেই দিয়ে দিতাম।'
তিনি আরও বলেন, 'একবার রুমালি রুটি বানাতে গিয়ে আমার হাত পুড়ে গিয়েছিল। তাতেও অসুবিধা হয়নি। এত কষ্ট করেছি বলেই আজ এখানে এসে পৌঁছেছি।' এটাই অনেকের কাছে অনুপ্রেরণা হতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন