সমকালীন প্রতিবেদন : চিকিৎসার গাফিলতিতে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে মৃতদেহ নিয়ে বনগাঁ থানার ফুলতলা এলাকার শতাধিক বাসিন্দা বনগাঁ থানার সামনে এসে জড়ো হন। চিকিৎসকের শাস্তির দাবি করেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাতে উত্তেজনা ছড়ায় বনগাঁ থানার সামনে।
জানা গেছে, মৃত প্রসূতির নাম পায়েল দাস। বাড়ি জয়পুর ফুলতলা কলোনির দাসপাড়া এলাকায়। দেড় বছর আগে কৃষ্ণনগরের কালীঘাট এলাকার বাসিন্দা সুরাজ সরকারের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। গর্ভবতী অবস্থায় বাপের বাড়ি থেকে চিকিৎসা চলছিল পায়েলের।
পরিবারের অভিযোগ, বনগাঁর একটি নাসিংহোমে ডেলিভারির একমাস আগে থেকে ডাক্তার সুব্রত মন্ডল এর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছিল তাঁদের মেয়ের। চলতি সপ্তাহের বুধবার সন্তান প্রসব করেন পায়েল। কিন্তু সন্তান প্রসবের পর থেকে পায়েল অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ।
পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের মেয়ের শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কথা গোপন করেছিলেন চিকিৎসক। শুক্রবার অবস্থার অবনতি হলে এসএসকেএম হাসপাতালে হস্তান্তর করা হয়। শনিবার সকালে পায়েলের মৃত্যু হয়।
এরপরই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে মৃতদেহ সঙ্গে নিয়ে থানার দারস্থ হন পায়েলের পরিবারের সদস্য সহ শতাধিক এলাকাবাসী। দোষী চিকিৎসকের শাস্তির দাবি জানান তাঁরা। পরিবারের পক্ষ থেকে থানাতে একটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন