সমকালীন প্রতিবেদন : বেশ কয়েকদিন ধরেই যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের ডিভোর্সের খবরে শোরগোল পড়েছে ইন্ডাস্ট্রি ও নেটদুনিয়ায়। এই বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে উঠে আসছে যীশু সেনগুপ্তের সঙ্গে তাঁর ম্যানেজারের সম্পর্ক। দীর্ঘ ২০ বছরের সংসার ভাঙার কারণেই নাকি সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন নীলাঞ্জনা।
এমনকী কলকাতায় এসে খাদানের শ্যুটিংয়ের সময় নিজের লেক গার্ডেন্সের বাড়িতেও থাকছেন না যীশু। শোনা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই আইনজীবীর পরামর্শও নিয়েছেন নীলাঞ্জনা। অনুরাগী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির বন্ধু বান্ধব, প্রায় সকলেই এই বিচ্ছেদের খবরে কার্যত হতবাক। কারণ, যীশু আর নীলাঞ্জনা বরাবরই ছিলেন একে অপরের পরিপূরক।
২০০৪ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন যীশু-নীলাঞ্জনা। সেই সময় নায়কের ভাই বা ছেলের ভূমিকাতেই যীশুকে বারবার কাস্ট করা হতো। ধীরে ধীরে ঋতুপর্ণ ঘোষের চোখে পড়েন যীশু। ঋতুপর্ণের একাধিক ছবিতে নানা চরিত্রে কাজ করে নয়া পরিচিতি পান যীশু।
নানাস্তরে স্বীকৃতি পান এই অভিনেতা। বানিজ্যিক ছবি করা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র কয়েকটি ভিন্নধারার ছবি করলে তো সংসার চলে না। হাল ধরলেন নীলাঞ্জনা। তৈরি করলেন যীশুর ও তাঁর প্রযোজনা সংস্থা। অভিনয় ছেড়ে প্রযোজনা সংস্থাকেই নিজের সম্পূর্ণটা দিলেন।
এককথায় যীশুকে প্রযোজক বানিয়েছিলেন স্ত্রী নীলাঞ্জনা। তাঁর বুদ্ধিতেই বৈষয়িক হয়ে ওঠেন নীলাঞ্জনা। তবে ২০ বছর ধরে একসঙ্গে থাকবার পর হঠাৎ করেই ছাদ আলাদা হল দুজনের। এবার কানে আসছে এমনই গুঞ্জন! কারণ, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় যিশুর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন নীলাঞ্জনা।
ইনস্টাগ্রামে স্বামীকে আনফলো করেছেন নীলাঞ্জনা, সঙ্গে মুছে ফেলেছেন সেনগুপ্ত পদবি। এখন তিনি শুধুই নীলাঞ্জনা। পাশাপাশি, যিশুর সঙ্গে নিজের অধিকাংশ ছবিই ডিলিট করেছেন তিনি। শোনা যাচ্ছে যে, যীশু নাকি পরকীয়ায় জড়িয়েছেন।
তার জেরেই দূরত্ব তৈরি হয়েছে স্ত্রীর সঙ্গে। আর এবার এই দূরত্ব যে বিবাহবিচ্ছেদের পথে এগিয়ে চলেছে, তা মোটামুটি স্পষ্ট। এখন যেন সবটা শেষ হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন