সমকালীন প্রতিবেদন : বাংলাদেশের উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে তিনদিন আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার পর অবশেষে বৃহস্পতিবার থেকে ফের পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যের কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন এবং ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি। বুধবার এব্যাপারে একটি সম্মিলিত বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং শেষ পর্যন্ত দেশত্যাগের পর বাংলাদেশের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়ে। চারিদিকে আগুন, ভাঙচুর, খুন, লুঠপাটের ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এপার বাংলার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে সরকারি আধিকারিকেরা। পরিস্থিতির কথা বিচার করে ওই দিন থেকে ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তবে তার মধ্যেই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পৌঁছে গিয়েছিল ৪ শতাধিক ভারতীয় ট্রাক। তারা পণ্য খালাস করার জন্য বাংলাদেশের বেনাপোল সীমান্তে অপেক্ষা করছিল। সেইসব ট্রাকের চালক এবং খালাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন এবার বাংলার ব্যবসায়ীরা। তাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে এপার বাংলা থেকে বাংলাদেশ প্রশাসনের কাছে লিখিত অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি, বাণিজ্য বন্ধ থাকার কারণে আর্থিক ক্ষতিও হচ্ছিল।
গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশের পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ফের বাণিজ্য চালু করা যায় কিনা, সে ব্যাপারে বুধবার দুপুরে বিশেষ বৈঠকে বসেন ভারত এবং বাংলাদেশের সরকারি পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়িক প্রতিনিধিরা। তাদের সম্মিলিত মতামতে অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, বৃহস্পতিবার থেকে ফের বাণিজ্য চালু করা হবে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতের পণ্যবোঝাই ট্রাক তাদের পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের বেনাপোলে প্রবেশ করবে। একইভাবে বাংলাদেশ থেকেও পেট্রাপোল সীমান্তে আসবে বাংলাদেশের পণ্য বোঝাই ট্রাক। আর এইসব ট্রাকের পণ্য এবং ট্রাক চালকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নেবে প্রশাসন। ফের বাণিজ্য চালু হওয়ার খবরে খুশি ব্যবসায়ীরা।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন